সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
আধিপত্য বিস্তার

বরিশালে রূপাতলী বাস টার্মিনালে ছাত্রলীগের হামলা-ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় হামলা চালিয়ে এক শ্রমিক নেতার কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বাস টার্মিনালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জন শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনার পর বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর জন্য সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাদের দায়ী করেছেন আহতরা। তবে ছাত্রলীগ নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের তিন দশকের পুরনো মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্প্রতি সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তার অনুসারীদের দিয়ে কমিটি গঠন করেন। এতে সভাপতি করা হয় পরিমল চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় শাহরিয়ার বাবুকে। তিন দশকের নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়ায় নিজস্ব বলয় নিয়ে সদর আসনের এমপি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ছায়াতলে আশ্রয় নেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ক্ষমতাসীন দুই পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল রূপাতলী বাস টার্মিনালে। প্রতিদিনই দুই পক্ষ লোকজন জড়ো করে নিজেদের সামর্থ্য জানান দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল ১১টার দিকে মেয়র অনুসারী শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে টার্মিনালে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করে।

এ সময় অফিসে থাকা নেতা-কর্মীদের বেদম মারধর করেন তারা। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতির পরও ছাত্রলীগের ত্রাস-নৈরাজ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রূপাতলী বাস টার্মিনালে। হামলায় শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ, বিপ্লব, মানিক, শামীম, নাসির, বিজন ও কালামসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ হামলার জন্য সিটি মেয়রের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল্লাহ মুনিম, রইজ আহমেদ মান্না, সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত ও রাজিব হোসেন খানসহ অন্যদের দায়ী করেছেন আহত শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ। তিনি এ হামলার বিচার দাবি করেন।

রূপাতলী বাস টার্মিনাল মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, তারা কারোর ওপর হামলা করেননি। তারা শুধু বাস টার্মিনালে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে হামলার সময় বাস টার্মিনালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন নির্বিকার। তবে বিএমপির সহকারী কমিশনার (কোতয়ালি) শারমিন সুলতানা রাখী বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর