মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত রাজধানীর ১০টি স্থানে সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রয়োজনে আমরা বিক্রয় কার্যক্রম বৃদ্ধি করব। গতকাল রাজধানীতে সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ১০টি স্থান হলো সচিবালয়-সংলগ্ন আবদুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, যাত্রাবাড়ী ও জাপান গার্ডেন সিটি। শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা ছাড়া কেউ এত কম মূল্যে এসব পণ্য বিক্রির পদক্ষেপ নেয়নি। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুর রহিম।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ডেইরি ফারমারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মশিউর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, গরুর মাংস, খাসির মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন সচল রেখে মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজে প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে, সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী-উৎপাদনকারী-সাপ্লাই চেইন-সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এ ভ্রাম্যমাণ বিপণনব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।