রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধানের জমিতে সেচ না পাওয়ায় দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার মামলায় গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার রাত ১টার দিকে গোদাগাড়ীর চব্বিশনগর গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ঈশ্বরীপুর-২ গভীর নলকূপের অপারেটর। তার বাড়িও ঈশ্বরীপুর গ্রামে। গত ২৩ মার্চ গ্রামের সাঁওতাল কৃষক অভিনাথ মারান্ডি (৩৭) ও তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি (২৭) বিষপান করেন। পরিবার অভিযোগ করছে, জমিতে সেচের পানি না দেওয়ার কারণে বিষপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। পরদিন অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম গোদাগাড়ী থানায় সাখাওয়াতকে একমাত্র আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।

 পরে হাসপাতালে রবি মারা গেলে তার ভাই সুশীল মারান্ডি বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পানি না দিয়ে দুই কৃষককে বিষ খেতে বলেছিলেন অপারেটর সাখাওয়াত।

ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে গোদাগাড়ীর নিমঘুটু ও ঈশ্বরীপুর গ্রাম পরিদর্শন করে স্থানীয়দের বক্তব্য সংগ্রহ করেছে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কৃষকরা কমিটির কাছে অভিযোগ করেছে, পানি না দেওয়ার কারণেই দুই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।