মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সংসদে মোংলা বন্দর বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বন্দর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিধান রেখে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২২ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। এ ছাড়া বিলে বন্দর ব্যবস্থাপনায় ‘সরল বিশ্বাসে’ সম্পাদিত কর্মকাণ্ডের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাদের ‘ইনডেমনিটি’ দেওয়া হয়েছে। বিলে ‘সরল বিশ্বাস’-এর ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বিলটি পাসের আগে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘ইনডেমনিটি’ দেওয়ার ফলে দুর্নীতি আরও বাড়বে বলে সরকারকে সতর্ক করে প্রতিবাদ জানান বিরোধী দলের এমপিরা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ১৭তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে বিলটি কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধন প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।

এদিকে বিল পাসের আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় রাজধানীর বুড়িগঙ্গার তীর রক্ষায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রশংসাও করেন জাতীয় পার্টির এমপিরা। তাঁরা বলেন, তিনি সাহসিকতার সঙ্গে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীর জমি সরকারের দখলে নিয়ে এসেছেন। জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা শুধু সমালোচনাই করি না। ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ দিই। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত করেছেন সাহকিতার সঙ্গে। বএ নদীর যারা দখলদার ছিল তাদের মধ্যে সরকারি দলেরও অনেকে ছিল। তিনি তাদের সবকিছু উপেক্ষা করে দখলমুক্ত করেছেন। অনেক অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলে সরকারের আয়ত্তে এনেছেন। এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মুজিবুল হক চুন্নু একটি গবেষণা সংস্থার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় চার নেতার নাম জানে না। কোনো কোনো শিক্ষার্থী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধারও নাম বলতে পারেনি। তারা স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারের মধ্যে পার্থক্য বোঝে না। ৩ নভেম্বর নিয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর ধারণা ভুল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে তারা তা জানে না, স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পর্কে কিছুই বলতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘এ গবেষণার ফলাফল সবাইকে আতঙ্কিত করেছে। কেন শিক্ষার্থীরা জানবে না; গলদটা কোথায়, ভুলটা কোথায়?’

প্রশ্নোত্তর : প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মোট পরিসম্পদের পরিমাণ ৩৯১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্থায়ী সম্পদ ১ কোটি ৬১ লাখ, বিনিয়োগ (এফডিআর) ২৩৪ কোটি ৭৫ লাখ এবং চলতি সম্পদ ১৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এক প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। সুন্দরবনে এক থেকে দেড় লাখ হরিণ, ১৬৫ থেকে ২০০ কুমির এবং ৪০ থেকে ৫০ হাজার বানর রয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে গণনা করে ২০১৫ সালে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ পাওয়া যায়। এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং সাধারণ মিলে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৬ হাজার ৯৬৩ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৮২৩ টাকা আদায় হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর