বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

দুঃখ কাটছে চট্টগ্রামের

প্রস্তুত ৭ খাল, জুনে শেষ হবে আরও ১১টির কাজ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

দুঃখ কাটছে চট্টগ্রামের

হস্তান্তরের জন্য ১৮টি খালের মধ্যে সাতটি প্রস্তুত। বাকি ১১টির রিটার্নিং ওয়ালের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের জুনের মধ্যেই। আপাতত এসব খালের কাজ শেষ করে পানি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের মধ্যে মহানগরের ৩৬টি খালের ১৮টির কাজ শেষ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (চউক) বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। বাকি ১৮টি খালের কাজও চলমান রয়েছে। এসব খালের কাজ শেষ হলে মহানগরের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।

চউক ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড সূত্রে জানা গেছে, চউকের বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৬ খালের কাজ চলমান রয়েছে। জুনে হস্তান্তরের জন্য মোট ১৮টি খালের মধ্যে সাতটি প্রস্তুত রয়েছে। বাকি ১১টির কাজও শেষ হবে শিগগিরই। বাকি ১৮ খালের কাজ চলমান রয়েছে। সিডিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জলাবদ্ধতা প্রকল্পের মধ্যে প্রস্তুত থাকা সাতটি খালের মধ্যে রয়েছে- রাজাখালী-২, সদরঘাট-১, সদরঘাট-২, কলাবাগিচা, চাক্তাই এলাকার মরিয়ম বিবি, চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট এলাকার গুপ্তা ও আমবাগান এলাকার আজব বাহার। এর পরপরই বুঝিয়ে দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা ১১টি খালের মধ্যে রয়েছে- চান্দগাঁও শমসেরপাড়ার ত্রিপুরা, রুবি সিমেন্ট, নয়াহাট, ফিরিঙ্গি বাজার, টেকপাড়া, মোগলটুলি, রামপুর, নাছির, রাজাখালী-১, রাজাখালী-৩ ও বাকলিয়া খাল। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার, উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক সদর দফতর-৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল খননের কাজ শেষ করতে চাই। ইতোমধ্যে সাতটি খালের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১১টির রিটার্নিং ওয়ালের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের জুনের মধ্যে। এরপর পানি চলাচলের উপযোগী হবে। তা ছাড়া এ প্রকল্পের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৬৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সামান্য কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ শেষ করতে একটু দেরি হচ্ছে।’

চউকসূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের আগস্টে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৭৩ কোটি ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ বাবদ এবং ৩ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়। ইতোমধ্যে ২ হাজার ১১১ কোটি ৯৮ লাখ ব্যয় হয়েছে এ প্রকল্পে। ২০১৯ সালে শুরু হয় এ প্রকল্পের ভৌতকাজ। এ বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প শেষ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাগতে পারে। জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে কিছু কাজ চলছে। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অফিসে আটটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে বেশ কিছু ভুলত্রুটি পাওয়া গেছে। তা পরিমার্জন করে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। ফলে এটি কাটিয়ে উঠতে বা এ জটিলতা নিরসন করতে আরও তিন-চার মাস লাগতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর