বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

অভিযোগ দেওয়ায় ঢাবি শিক্ষার্থীকে হল থেকে নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ হল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করেছিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। অন্তত চার ঘণ্টা বাহিরে অবস্থানের পর প্রশাসনের দায়িত্বে হলে ফিরতে পেরেছেন তিনি। এর আগে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদারের অনুসারী ৭-৮ জন ছাত্রলীগকর্মী ভুক্তভোগী রাজিমুল হক রাকিবকে হল থেকে বের করে দেয়। এ সময় তার বই-খাতা, টেবিল ও কাপড় হলের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে হলের আবাসিক শিক্ষকরা তাকে আবার তার কক্ষে তুলে দেয়। এর আগে, ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তানভীর সিকদার রাকিবকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। এ বিষয়ে হল প্রশাসনকে অবহিত করেছিলেন রাকিব। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তার।

 তিনি জানান, ‘(সোমবার) ইফতারের পর তানভীরের অনুসারী নাফিস ও রাজুসহ ৭-৮ জন আমাকে হল থেকে বের করে দেয়। এ সময় তারা খুব মারমুখী আচরণ করে।’

সোমবার রাত ৯টার দিকে রাকিব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘সোমবার দুপুরে হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর হল প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাকে আমার বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছিলেন। একপর্যায়ে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হলের আবাসিক শিক্ষক মো. বেলাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে হলে তুলে দেন।

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনা জেনে হলের চারজন হাউস টিউটরকে পাঠিয়েছিলাম। তারা ওই শিক্ষার্থীকে নিরাপদে হলে তুলে দিয়ে এসেছেন। আর তাকে কারা হল থেকে বের করে দিয়েছে সেটার জন্য তদন্ত করব এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তবে, হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তানভীর শিকদার। তিনি বলেন, তাকে কে বা কারা হল থেকে বের করে দিয়েছে, তা আমি জানি না। বিষয়টি হল প্রশাসন তদন্ত করে বের করুক।

সর্বশেষ খবর