বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স

অভিযুক্ত তিন এসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা

আলী আজম

সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স

দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এর পরই চাঁদাবাজি বন্ধে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কে যে কোনো চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকালও চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনজন এসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কে যে কোনো চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেশের ৪২ জেলার সড়ক নিরাপদ রাখতে কাজ করে হাইওয়ে পুলিশ। পণ্যবাহী ট্রাক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া দিনে বা রাতে থামানো নিষেধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশও যদি চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পাঁচটি রিজিওনে পাঁচজন পুলিশ সুপার (এসপি) এবং হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি মহাসড়কের সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করছেন। হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মল্লিক ফখরুল ইসলাম ফিল্ড লেভেলে সব ইউনিট কমান্ডার ও পুলিশ সদস্যদের মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধসহ সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এ ছাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও ডাকাতি বন্ধে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত সব ইউনিট পরিদর্শন করে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। হাইওয়ে পুলিশের সব সদস্য আন্তরিকতার সঙ্গে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মহাসড়কে ওভারস্পিড ও থ্রি-হুইলার বন্ধে আমরা কঠোর।’ জানা গেছে, করোনার কারণে দুই বছর মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারেনি। এবার বিধিনিষেধ না থাকায় অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাবে। মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পণ্য পরিবহন থামানো যাবে না। মহাসড়কে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আসন্ন ঈদ যাতে ঘরমুখো মানুষ সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরাপদে উদ্যাপন করতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ৪১৭টি ব্ল্যাক স্পটসহ ৯০২টি বাঁক রয়েছে। এসব স্থানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক, হেলপার, মোটরসাইকেল চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে ও সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এমনকি কর্মশালার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পিডগান ব্যবহার করা হচ্ছে। আইন অমান্য করলেই তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া হচ্ছে।’

হাইওয়ে পুলিশের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ২ হাজার ১৬৭ জন নিহত ও ২ হাজার ৫৫৮ জন আহত হন। বেপরোয়া চালানোয় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর