বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
খাল নালা পরিষ্কার

সিডিএর কাছে ১০০ কোটি টাকা চায় চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালা পরিষ্কারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চলমান প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে। গতকাল দুপুরে চসিকের সম্মেলন কক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে চসিক-সিডিএ সমন্বয় সভায় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ টাকা চান। সভায় বক্তব্য রাখেন সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল শাহ আলী। সভায় কাউন্সিলরদের দাবি ছিল, বর্ষার পূর্বেই খালের মাটি ও বাঁধ অপসারণ, নালার স্লাভ ঠিক করা ও প্রকল্পের কাজের সঙ্গে কাউন্সিলরদের সমন্বয় করা।  চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের মূল কাজের কিছু সিডিএ ও কিছু সেনাবাহিনী করছে। এই প্রকল্পের অধীনে নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে বেশ কিছু ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ড্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণে চসিকের কোনো বরাদ্দ নেই। বর্তমানে চসিকের ফান্ডের অবস্থাও ভালো নয়। এই পরিস্থিতিতে নালা-খাল মেইনটেন্যান্সের দায়িত্ব করপোরেশনের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।

কারণ করপোরেশনে ফান্ড ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে। যদি সিডিএ কোনো বরাদ্দ দিতে না পারে সে ক্ষেত্রে আমাদের বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ের দারস্থ হব।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের অধীন পাঁচটি খালের ওপর রেগুলেটর বসানো হয়েছে। যা চলতি বছরের জুনে চালু করার কথা। সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড থেকে প্রয়োজনীয় লোকবলের চাহিদা দিলেও তা এখনো দিতে পারেনি কোনো সংস্থাই। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কাটাতে প্রথম বছর এসব রেগুলেটরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দেওয়া যায়। 

সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, এবারের জলাবদ্ধতা অন্যান্যবারের মতো হবে না। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের চলমান চার বছরের কাজের মধ্যে এখনো দুই বছরের কাজ বাকি। এখনই শতভাগ ফলাফল পাব এটা মনে হয় না। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংও প্রয়োজন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে পানি বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া যাবে।  

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, আসন্ন বর্ষার পূর্বে এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা কাজ করতে পারব। নগরীর বিভিন্ন এলাকার খালগুলোতে ১৭৬ কিলোমিটারের মতো রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজে এটা বড় অগ্রগতি। পাশাপাশি অনেক এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানও চালাতে হচ্ছে। পুরো প্রকল্পের কাজ সমানতালে করা সময় সাপেক্ষ। কারণ এখানে বহু প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে এ বছর নগরীর প্রবর্তক মোড়ে প্রতিবারের মতো জলাবদ্ধতা হবে না। কারণ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অপসারণসহ এর পেছনের খালের অবৈধ স্থাপনা সরানো হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর