শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের গ্রামে চোখ রাঙাচ্ছে ডায়রিয়া

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের গ্রামে চোখ রাঙাচ্ছে ডায়রিয়া

চট্টগ্রামে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯১ জন। এর মধ্যে ১৫ উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৮ জন। বাকি ৬৩ জন চট্টগ্রাম নগর এলাকায়। ফলে ডায়রিয়া গ্রাম পর্যায়েই বেশি চোখ রাঙাচ্ছে। তবে এখনো উপজেলায় আক্রান্তদের উপজেলায়ই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা সুস্থও হচ্ছেন।

জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত মোট ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পটিয়ায় এবং কম আক্রান্ত রাউজানে। তবে গতকাল চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন। অন্যদিকে গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতলে ভর্তি আছেন আটজন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজন এবং বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে প্রায় ৫০ জন। আক্রান্তের অধিকাংশই শিশু।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে শহর এলাকার চেয়ে উপজেলা পর্যায়ে ডায়রিয়া আক্রান্তের হার কিছুটা বেশি। তবে তা এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে। তা ছাড়া ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন। তবে সামগ্রিক বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২৮৪ জনের টিম গঠন করা হয়েছে। ভয়ের কোনো কারণ নেই।’ পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসানুল করিম বলেন, ‘ডায়রিয়া পানিবাহিত একটি রোগ। সাধারণত শহরের মানুষ ফুটানো পানি কিংবা ফিল্টার করা পানি পান করে থাকে। কিন্তু এর বিপরীতে গ্রাম পর্যায়ের তৃণমূলের অধিকাংশ মানুষই ফুটানো পানি বা ফিল্টার পানি পান করে না। গ্রামের কিছু মানুষ টিউবওয়েলের পানি পান করলেও এখনো অনেক মানুষ খোলা পুকুরের পানি পান করছে। এসব পানি জীবাণুমুক্ত নয়। ফলে এ পানি থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। তারা বিশুদ্ধ পানি কম খাচ্ছে। তাই সবার উচিত হবে বাইরের অপরিষ্কার খাবার, রাস্তাঘাটের শরবত না খাওয়া। পরিষ্কার ফুটানো পানি কিংবা ফিটকিরি দিয়ে পানি পরিষ্কার করে পান করা। একই সঙ্গে স্যানিটেশনের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে মেনটেইন করতে হবে।’ জানা যায়, ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় চট্টগ্রামের প্রধান সেবা কেন্দ্রগুলোয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি ঠেকাতে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। একই সঙ্গে ডায়রিয়া-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী মজুদ রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে ডায়রিয়া চিকিৎসা। চমেক হাসপাতালের তিনটি মেডিসিন ওয়ার্ডে আছে প্রয়োজনীয় শয্যা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর