শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

মসজিদে মসজিদে রকমারি ইফতারি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

মসজিদে মসজিদে রকমারি ইফতারি

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ফিরেছে চট্টগ্রামে ইফতারির জৌলুস। প্রথম রোজা থেকে নগরের ছোট-বড় মসজিদগুলোতে হরেক পদের ইফতারি দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে রোজাদারদের। মসজিদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও ফিরেছে ইফতার পার্টির সংস্কৃতিতে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ ও জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার রোজাদারকে ইফতারি করানো হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দুই বছর তা বন্ধ ছিল। এ বছর প্রথম রোজা থেকে তা ফের চালু হয়েছে।’ দুই দশকের অধিক সময় ধরে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের ইফতারির আয়োজন করে আসছে। ২ হাজারের অধিক রোজাদারকে প্রতিদিন ইফতার করানো হয়। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত দুই বছর বন্ধ ছিল ইফতারির সেই আয়োজন। এবার করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি ‘প্রায়’ স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের শুরু হয়েছে জৌলুসপূর্ণ ইফতারির আয়োজন। এবার প্রথম রোজা থেকে ২ হাজারের অধিক রোজাদারকে আট থেকে ১০ পদের মুখরোচক খাবার দিয়ে করানো হচ্ছে ইফতার। দুই বছর পর ফের ইফতারির আয়োজনে ফিরেছে চট্টগ্রামের প্রধান জামে মসজিদ জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ। প্রতিদিন শরবত, মুড়ি, খেজুর, পিঁয়াজু, বেগুনি, সমুচাসহ হরেক পদের খাবার দিয়ে রোজাদারদের করানো হয় ইফতার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রতিদিন হাজারের মতো রোজাদারকে ইফতারি করানো হয়। আঞ্জুমান ট্রাস্টের অধীনে নগরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার খানকায় হরেক পদের ইফতারি দিয়ে রোজারদের করানো হয় ইফতারি। এ খানকায় প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ রোজাদারকে ইফতারি করানো হয়। কল্পলোক জেলা মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিদিন ইফতারি করানো হয় ৫০০ রোজাদারকে। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নগরের জিইসির মোড় এলাকার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পে প্রতিদিন দেড় থেকে ২ হাজার রোজাদারকে ইফতারি করানো হয়। এ ছাড়া নগরের প্রায় প্রতিটি মসজিদে প্রতিদিন আয়োজন করা হচ্ছে ইফতারের। দুই বছর বন্ধ থাকার পর ইফতারি পার্টি সংস্কৃতিতে ফিরেছে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। একইভাবে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও আয়োজন করছে ইফতার পার্টির। গাউছিয়া কমিটির খতিবের হাট শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু বকর বলেন, ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার খানকায় প্রতিদিন ইফতারির সময় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ ইফতারি করেন। আঞ্জুমান ট্রাস্টের আয়োজনে রোজাদারদের জন্য সুস্বাদু ইফতারির ব্যবস্থা থাকে। এখানে পথচারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত হয়। গত এক দশক ধরে এ আয়োজন অব্যাহত আছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর