বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

যুদ্ধে সারে ভর্তুকি বাড়ছে ২২ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলতি মৌসুমে কেবল সার কিনতেই অতিরিক্ত ২২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ভর্তুকি বাড়াতে হচ্ছে সরকারকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সারে ভর্তুকিতে সরকারের খরচ হয়েছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এ বছর তা বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

গতকাল সচিবালয়ে সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। সব মিলিয়ে সারের ভর্তুকিতে এ বছর ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৪ গুণের বেশি। সমন্বয় কমিটির সভায় আরও অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ। সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৬৭ লাখ টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ, টিএসপি ৭ লাখ, ডিএপি ১৫ লাখ, এমওপি সাড়ে ৭ লাখ, জিপসাম সাড়ে ৫ লাখ, জিঙ্ক সালফেট ১ লাখ ৪১ হাজার টন এবং বাকিগুলো জিপসাম, বোরন প্রভৃতি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা ও যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম মার্চে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় দেশে কৃষির উৎপাদন ও ফলন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোক্রমেই খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। ড. রাজ্জাক আরও বলেন, বছরে সারে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া সারা বিশ্বে বিরল।

পৃথিবীর কোনো দেশে এত ভর্তুকি দেওয়ার উদাহরণ নেই। ভর্তুকি কমাতে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপও রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের স্বার্থে ও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থার আপত্তি উপেক্ষা করে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর