বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম চিকিৎসকদের!

খুলনায় ইন্টার্নদের লাঞ্ছিত করা আসামিরা গ্রেফতার না হলে কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎকদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মামলার আসামিদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আগামী ১৬ এপ্রিল দুপুরের মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার না হলে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকবে। গতকাল নগরীর সাতরাস্তার মোড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মানববন্ধনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার নেতারা এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। সংগঠনের সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা না হলে চিকিৎসকরা কোথাও চিকিৎসা দেবেন না।

তিনি বলেন, অপ্রতুল চিকিৎসা উপকরণ ও জনবল অবকাঠামো ঘাটতি নিয়ে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতে যান। সেখানে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়, কোনো কারণে রোগীর মৃত্যু হলে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের ওপরই চড়াও হন। অথচ অপ্রতুল চিকিৎসা উপকরণ দিয়ে চিকিৎসকদেরই ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল চাই।

জানা যায়, ১০ এপ্রিল ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রীতম কর্মকার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।

অন্যদিকে মৃত ওই রোগীর স্বজনরা বলছেন, হাসপাতালে রোগীর অবস্থা যখন সংকট মুহূর্তে, তখন বারবার ডাক্তারদের ডাকলেও তারা আসেননি। এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যু হলে কেন ডাক্তাররা আসেননি এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইন্টার্ন ডাক্তারদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এরপর ওই ডাক্তাররা রোগীর লাশ আটকে রেখে তার দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড়ে অবরোধ সৃষ্টি করলে ১১ ঘণ্টা পর পুলিশ দুই ছেলেকে ছেড়ে দেয়। তবে মৃত রোগীর অন্য দুই ছেলের বিরুদ্ধে চিকিৎসককে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়। এ ঘটনায় মানবিক দিক বিবেচনা করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।

সর্বশেষ খবর