চট্টগ্রামে শত বছর ধরে চলমান লালদীঘির মাঠে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটেছে। আয়োজক কমিটি এবারও মেলা আয়োজন না করার ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলেও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্যোগ ও আগ্রহে অবশেষে বৈশাখী মেলা ও বলী খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আজ বেলা ১১টায় মেয়রের বাসভবনে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জানা যায়, বৈশি^ক মহামারি করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বৈশাখী মেলা ও ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে এবার করোনা সংক্রমণ কমলেও মাঠ সংকটসহ নানা কারণে মেলা অনুষ্ঠিত না হওয়ার উপক্রম হয়। সিটি মেয়রের আগ্রহে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর মেয়রের বহদ্দারহাটের বাসভবনে টানা দুই ঘণ্টা ধরে মেলা ও বলী খেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে যথাসময়ে ১২ বৈশাখ লালদীঘির প্রধান সড়কেই বলী খেলা ও তিন দিনের বৈশাখী মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত দেন। আয়োজনে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।  আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, মেয়র বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছেন। এরপর থেকে মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে আশার আলো দেখা দিয়েছে। শনিবার আবারও মেয়রের বাসভবনে প্রস্তুতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, লালদীঘির সড়কেই যথাসময়ে বলী খেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। 

জানা যায়, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে চট্টগ্রাম শহরে এই বলী খেলা অনুষ্ঠানের প্রচলন হয়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১২ বৈশাখ ইংরেজি ১৯০৯ সালে প্রথম বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত আসর নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। এই বলী খেলা উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে মেলা চলে, যা প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর এই মেলার পরিধি ও জনপ্রিয়তা ব্যাপকতা লাভ করে।