রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় সড়কেই বাসস্ট্যান্ড বাজার

সমন্বয়হীনতায় যানজটে নাভিশ্বাস

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় সড়কেই বাসস্ট্যান্ড বাজার

খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের ওপরে এলোমেলো বাস রাখায় যানজট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সড়কে সমন্বয়হীনতা ও নিয়ন্ত্রণহীন ইজিবাইকের চাপে খুলনায় যানজটে ভোগান্তি বাড়ছে। বেদখল হয়ে যাওয়ায় ফুটপাথ দিয়ে চলাচলের সুযোগ নেই। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকের নিজস্ব গ্যারেজ না থাকায় প্রতিষ্ঠানের সামনেই অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, রিকশাভ্যান অবস্থান নেয়। ফলে বাধ্য হয়ে সড়ক দিয়ে পথচারীদের চলতে হয়। এতে যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনাও বাড়ছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের মনিটরিং না থাকায় বিভিন্ন রুটের বাসগুলো সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হয়ে যাত্রী উঠানোর জন্য দীর্ঘক্ষণ মূল সড়কে অবস্থান করে। এতে প্রায়ই মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা থানার সামনে এমএ বারী রোড, গল্লামারী ও বাইপাস মোড় এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। গল্লামারী থেকে বটিয়াঘাটা রোড, ডাকবাংলো, ময়লাপোতা সাতরাস্তা মোড়ে ফুটপাথ দখল ও সড়কের পাশে অস্থায়ী বাজার, দোকানঘর থাকায় যানজট তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া কেডিএ এভিনিউ, খানজাহান আলী রোডসহ আরও কয়েকটি সড়কে গড়ে ওঠা হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিজস্ব গ্যারেজ না থাকায় প্রতিষ্ঠানের সামনেই অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, রিকশাভ্যান দীর্ঘ সময়ব্যাপী অবস্থান করে। এতে যান চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, যানজটের মূল কারণ সড়কে সমন্বয়হীনতা। নগরীতে সবচেয়ে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয় সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মজিদ সরণি, এমএ বারী রোড এলাকায়। শিববাড়ী থেকে ইজিবাইকে বয়রা বাজার এলাকায় যেতে প্রতিদিনই যাত্রীদের সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনাল এলাকায় যানজটে পড়তে হয়।

বাসগুলো রাস্তার ওপর এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকে। এ পথ দিয়ে গল্লামারী, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বয়রাসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রী চলাচলের কারণে যানজট বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইজিবাইক চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সড়কে বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। নিরাপদ সড়ক চাই, খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না জানান, ট্রাফিক পুলিশ খানজাহান আলী রোডসহ কয়েকটি সড়কের ক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধকতা (প্লাস্টিকের তৈরি ডিভাইডার) তৈরি করেছে। এতে সড়কের একদিকে যান চলাচলে চাপ বাড়ছে। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া ট্রাফিক পুলিশের অধিকাংশ অফিসারই মোটরসাইকেল আটকে জরিমানা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে যানজটের জন্য অবৈধ ইজিবাইকের দিকেই আঙুল তুলছে কেএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কেসিসি ৮ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দিলেও শহরে ১৫-২০ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। আবার প্রত্যেক চালকের কাছেই কেসিসির লাইসেন্স রয়েছে। এটা কীভাবে হতে পারে?

জবাবে কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, অনেক সময় ফটোস্ট্যাট বা ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে ইজিবাইক চলতে পারে। এটা দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। বাইরের ইজিবাইক শহরে ঢুকবে না সেই নির্দেশ দেওয়া আছে। কিন্তু তারা মোড়ে মোড়ে বসে থেকে দেখেও না দেখার ভান করে। আর যেসব ইজিবাইক আটক হয় তাও একদিন রাখার পর জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর