সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

হাবিব-রহিমা দম্পতির পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বাসিন্দা রিকশাচালক হাবিবুর রহমান (৬০)। চার ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার তার।

দীর্ঘজীবন রিকশা চালিয়ে সংসারের ঘানি টানলেও বয়স ও অসুস্থতার কারণে এখন আর পারেন না। কয়েক বছর হলো রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বড় ছেলে (২১) একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করে। দ্বিতীয় ছেলে (১৭) পত্রিকা বিলি করে। অন্য দুই ভাই বয়সে ছোট। তাদের দুই ভাই যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চলে না। এ অবস্থায় সংসার পরিচালনায় অবদান রাখার আশায় হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস লিমা শিখেছেন সেলাইয়ের কাজ। নিজেদের সেলাই মেশিন না থাকায় পরিবারের উপার্জনে কোনো অবদান রাখতে পারছেন না তারা। বিষয়টি জানতে পেরে সহায়-সম্বলহীন এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।

বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় অসহায়দের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ হিসেবে শুভসংঘ হাবিব-রহিমা দম্পতির হাতে তুলে দিয়েছে সেলাই মেশিন।  গত শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা শুভসংঘের আয়োজনে ওই অসহায় দম্পতির হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তারুজ্জামান। উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি ফাতেহ আলম শিশিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান সবুজ, ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শামীম আজাদ আনোয়ার, খোরশিদুল আলম মজিব, ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম শামীম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রেজাউল করিম বাদল, ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জোবায়ের হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক ফয়জুর রহমান ফরহাদ, প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ শুভসংঘের বন্ধুরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করার পাশাপাশি অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ সারা দেশে যেভাবে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যা আমাদের জন্য অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। অসহায় বৃদ্ধা রহিমা খাতুন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমার স্বামী রিকশা চালিয়ে আমার ও সন্তানদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতেন। অসুস্থতা আর বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি আর সংসারের ঘানি টানতে পারেন না। আমি স্বামী সন্তানদের নিয়ে খুব অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করতাম। আপনাদের দেওয়া সেলাই মেশিন পেয়ে আমার অনেক উপকার হলো। আমি ও আমার মেয়ে এই সেলাই মেশিন দিয়ে আয় রোজগার করে সংসার চালাতে পারব। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমার এই অসহায় অবস্থায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর