বাগেরহাটের মোংলায় ইউপি মেম্বারের টর্চার সেলে নিয়ে দুই ভাইকে উলঙ্গ করে ৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার অন্যরা হলেন খোকন ঘোষাল (৩০), বেল্লাল খাঁ (৪৫) ও মো. নিয়ামুল ব্যাপারী (৩০)। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার কানাইনগর ও কালিকাবাড়ী গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদরের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল সকালে র্যাব-৬ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে আলোচিত এ ঘটনার মূল হোতা সুলতান মেম্বারপুত্র জাকির হাওলাদারকে রবিবার মোংলার কানাইনগর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। র্যাব জানান, শনিবার সকালে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকার নামে দুই ভাইকে তুলে নেয় মেম্বার সুলতান ও তার দুই ছেলেসহ অন্য সহযোগীরা। পরে সিঙ্গাপুর মার্কেটে ও কাইননগর গুচ্ছগ্রামে নিয়ে তাদের টর্চার সেলে উলঙ্গ করে ৫ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় নির্যাতন চালায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মোংলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় নির্যাতিতদের ভাই কাইনমারী গ্রামের কুমুদ সরকার বাদী হয়ে মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ ১৪ জনকে আসামি করে ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটসহ হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
দেশব্যাপী আলোচিত এ ঘটনার পর র্যাব-৬ ছায়া তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদে জানতে পারে প্রধান আসামি মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ অন্যরা বাগেরহাট সদরে আত্মগোপন করে রয়েছেন। গ্রেফতারদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।