বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চসিকের নতুন খালে ব্যয় বাড়ে, কাজ শেষ হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি নতুন খাল খনন অনুমোদন পায় ২০১৪ সালে। ‘বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত’ খালের জন্য একনেক সভায় ৩২৬ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়। কিন্তু প্রায় আট বছর পার হলেও খনন কাজ চলছে শম্ভুক গতিতে। এরই মধ্যে বেড়েছে প্রকল্পের ব্যয়। সর্বশেষ গতকালও এ প্রকল্পে ১০৬ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যয় বাড়লেও কাজ শেষ হয় না নতুন খালের। গত ২৭ নভেম্বর নগরের মাইজপাড়ায় চসিকের খালটি খনন কাজ শুরু হয়।

জানা যায়, ১৯৯৫ সালে নগর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক নতুন খাল খননের প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ২৪ জুন খালের জন্য ৩২৬ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়। ২০১৭ সালের জুনে খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ হয়নি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ফের প্রকল্পটি সংশোধন করে ব্যয় উন্নীত হয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকায়। সর্বশেষ গতকাল একনেক সভায় প্রকল্পটির ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল একনেক সভায় বারইপাড়া খালের সংশোধিত ব্যয় অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পে তিনটি ব্রিজ ও কিছু ড্রেনের কাজ সংযোজন হয়। ফলে এখন ব্যয় কিছুটা বাড়ছে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লেও আগে এ প্রকল্পে ২৫ শতাংশ চসিকের তহবিল থেকে খরচের বাধ্যবাধকতা ছিল। সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনে শতভাগ সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই এখন কাজের গতিও বাড়বে।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় বেড়েছে মৌজা মূল্য। এখন ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৯১১ কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন মৌজায় অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে ২৫ দশমিক ১৬ একর ভূমি। নতুন খালটি নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খাল-শাহ্? আমানত সংযোগ সেতু রোড-নুর নগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলির হাট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে। খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার, প্রস্থ ৬৫ ফুট। মাটি উত্তোলন, সংস্কার ও নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে উভয় পাশে ২০ ফুট করে ২টি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ৫ দশমিক ৫ কিমি সড়ক, ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল ও ৯টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের অধীনে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর