শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন ভাই চালাতেন সেই আতশবাজির কারখানা

বিস্ফোরণে নারী শ্রমিকের মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে তিন ভাই মিলে অবৈধ আতশবাজির কারখানাটি চালাতেন। এ ছাড়া প্রতিবেশী একজন ছিলেন ওই কারখানার সঙ্গে জড়িত। আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর বুধবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে বিষয়টি জানা যায়। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। নান্দাইল থানায় মামলাটি করেন এসআই বাবলুর রহমান। আসামিরা হলেন তিন ভাই বোরহান উদ্দিন (৫০), ফকর উদ্দিন (৬০), শাহজাহান (৪০) ও প্রতিবেশী হেলিম মিয়া (৪৫)। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই সবাই পলাতক। তবে খুব দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব বলে আশা করছি।’ স্থানীয়রা জানান, ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে এ চারজন কারখানাটিতে নানা ধরনের বিস্ফোরকদ্রব্য, আতশবাজি ও পটকা তৈরি করে আসছিলেন। তবে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘অবৈধভাবে পটকা তৈরির কোনো তথ্য আমাদের কাছে ছিল না।’

ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মন্টু বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হয় পুরো কারখানায়। অন্যদিকে সিআইডির এক্সপার্টরা বিস্ফোরণের মূল কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। উপজেলার চ-ীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশাটি গ্রামের ওই আতশবাজির কারখানায় বুধবার ভোরে একটি বিস্ফোরণ হয়। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে ধসে পড়ে আধাপাকা বাড়িটি। নিহত হন নাছিমা বেগম (৩০) ও আফিলা বেগম (৪৫) নামে দুই নারী শ্রমিক।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত শ্রমিক আফিলা বেগমের স্বামী আবদুল গনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ছয়-সাত মাস ধরে সপ্তাহে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করতেন ওই কারখানায়।’

বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্র করে এ পটকা কারখানা থেকে পাইকারি বিক্রি করা হতো বলে জানান প্রতিবেশীরা। আসছে ঈদ কেন্দ্র করেও চলছিল পটকা তৈরির কর্মযজ্ঞ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর