নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারকে গ্রামছাড়া এবং স্বজনদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আমিনুল শেখ, আলমগীর, তার ভাই আল আমিন, বাবা শুকুর আলী, মা নাসিমা, রকির ভাই আসলাম, জিয়াদ, শরিফ, আরিফ, রনি, অনিক, সুমন, নিলুফা, আবু তাহের ও শামীম। মামলার বাদী জানান, শবেবরাতের রাতে তার মেয়েকে আলমগীর ও তার ফুফাতো ভাই রকি মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা হয়। ঘটনার দুই দিন পর আসামি রকি পালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পুলিশি হেফাজতে মারা যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
তিনি জানান, মামলার পর আসামি আলমগীর ও তার পরিবার এবং ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও তার ছেলে শুভ হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদের বাড়িছাড়া করে। এ ছাড়া তাদের স্বজনদের পাঁচটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ২০ এপ্রিল ভিকটিম পরিবারের পক্ষে এক আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে একটি পিটিশন মামলার আবেদন করেন।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জবানবন্দি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত তার অভিযোগ থানায় এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।