রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ

নৌপথে টোল আদায়ের নামে লুটপাট চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকার সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশের সবকটি নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাটে এবং খেয়া পারাপারের ৪ শতাধিক পয়েন্টে ইজারাদাররা অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের এসব ইজারাদাররা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গার সদরঘাট পয়েন্টের প্রতিটি ঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল আদায় করা হচ্ছে। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা রয়েছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার সদাই নিয়ে পারাপার হলেও তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০ থেকে ১০০ টাকা করে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদাররা। মোজাম্মেল হক দাবি করেন, দেশের নৌ-পথের যাত্রী পারাপারে এ জাতীয় লুটপাট বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিআইডব্লিউটিএর ইজারা দেওয়া সারা দেশের ৪ শতাধিক নদীবন্দর ও খেয়াঘাটের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টে এ ধরনের হরিলুটের মহোৎসব চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌপথে  যাত্রী হয়রানি ও টোল নৈরাজ্য বন্ধে বার বার নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এরপরও এহেন নৈরাজ্য বন্ধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউটিএ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যাত্রীসাধারণ প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদাররা এলাকার মাস্তানদের দায়িত্ব দেওয়ায় যাত্রী সাধারণ অনেকেই তাদের চাহিদামতো অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে অনেকের দামী মালামাল নদীতে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি মারধরের শিকার হচ্ছে। এতে করে অসহায় যাত্রী সাধারণকে সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর