বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবর্জনায় তলিয়ে গেছে আবাদি জমি

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ময়লা-আবর্জনায় তলিয়ে যাচ্ছে আশপাশের চাষাবাদের জমি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয় কৃষকরা।

উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের লাগোয়া পশ্চিমপাড়া ও লম্বাশিয়ার বিশাল এলাকা জুড়ে ধানি জমিতে মলমূত্র, প্লাস্টিকের বোতল, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ,পচনশীল ময়লা আবর্জনার স্তূপ হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকটি  রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসব ময়লা আবর্জনা ও মানববর্জ্য সরাসরি কৃষিজমিতে ফেলা হচ্ছে। গত পাঁচ বছর ধরে শতাধিক একর ধানি জমি রোহিঙ্গা আসার পর থেকে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে গেছে। অথচ এ জমিতে চাষাবাদ করে পুরো বছরের সংসার চলে তাদের। কৃষকরা আরও বলছেন পশ্চিম পাড়া এবং লম্বাশিয়ার এসব জমিতে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত এখানকার চাষিরা। গত পাঁচ বছরে ধান চাষ বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে কষ্টে আছেন। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানানোর পরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ বিষয়ে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (কুতুপালং) হেলাল উদ্দিন বলেন, একটি ইউ ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য নানা জায়গায় আবেদন করলেও সাড়া দেয়নি কেউই।

দফায় দফায় কৃষকদের নিয়ে প্রশাসন, এনজিও কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাড়া মেলেনি বলে জানান এ জনপ্রতিনিধি।

উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গার কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। তার সঙ্গে যে সব চাষাবাদের জমি রয়েছে তাও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ময়লা-আবর্জনায় অনাবাদি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও স্থানীয়দের স্বার্থ রক্ষায় একটি ড্রেন নির্মাণ করছে না। যার কারণে সামনের বর্ষা মৌসুমে শত শত একর ধানি জমি অনাবাদি থাকবে।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজীব বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়াও চাষাবাদের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প প্রশাসন এবং এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ খবর