বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজধানীতে সহস্রাধিক চোরাই মোবাইল-ট্যাব-ল্যাপটপ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছিনতাই, চোরাই ও আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা সহস্রাধিক দেশি-বিদেশি মোবাইল, ট্যাব ও ল্যাপটপ জব্দ করেছে র‌্যাব। একইসঙ্গে বিশেষ এই অভিযানে বিভিন্ন বয়সী ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকটি মোবাইল চুরি ও ছিনতাই চক্র রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচা নিয়ে তৎপর হয়েছে। এসব মোবাইল বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি করছিল তারা। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে র‌্যাব-৩ এর সাতটি আভিযানিক দল লালবাগ, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্টন, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের অন্তত ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এসব এলাকায় অন্তত ২০টিরও বেশি মোবাইলফোন ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে।  চুরি এবং ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বরগুলো পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন চক্রের যোগসাজশে মার্কেটের সামনে গোপনে বিক্রি করা হতো।

 অভিযানে গ্রেফতারদের কাছ থেকে ট্যাব ৩০টি, টাচ মোবাইল ৭১৭টি, বাটন মোবাইল ৭৯৩টি, ল্যাপটপ (নতুন) ২৮টি এবং নগদ ৫৫ হাজার ৬৪৭ টাকা জব্দ করা হয় বলেও জানান আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারদের কাছ থেকে র‌্যাব জানতে পেরেছে, ছিনতাই বা চোরাই মোবাইল ফোনগুলো অল্প দামে কিনে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করে।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে এই অভিযানে র‌্যাবকে সহযোগিতা করেছে জানিয়ে লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। আইএমইআই পরিবর্তন করার কারণে এসব মোবাইল পরে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসার সময় অনেকে তিন থেকে চারটি মোবাইল সেট আনে। মোবাইলগুলো আনা হয় প্যাকেট ছাড়াই। এতে ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয় না। এরপর মোবাইলগুলো বেশি দামে এই চক্রের কাছে বিক্রি করা হতো।

সর্বশেষ খবর