শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতায় কর্মজীবীদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতায় কর্মজীবীদের ভোগান্তি

চট্টগ্রাম নগরে বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি। গতকাল জলাবদ্ধতা পেরিয়ে ঈদের পর কর্মদিবস শুরু করতে হলো পেশাজীবীদের -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদুল ফিতরের বন্ধের পর প্রথম দিন। সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এটিই চিরাচরিত নিয়ম। কিন্তু এ নিয়মে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। খোলার দিনই মুখোমুখি হতে হলো বৈরী আবহওয়ার। চট্টগ্রাম নগরে বৃষ্টি মানেই হাঁটু পানি। সঙ্গে জলাবদ্ধতা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতেই হাঁটুজল। ফলে বন্ধের প্রথম দিনই জলাবদ্ধতা দিয়ে কর্মদিবস শুরু করতে হলো। জলজটের কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অফিসগামীদের। কর্মজীবীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন জলাবদ্ধতার কারণে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে। তা ছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ কারণে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে। শেষ রাতের দিকে এবং সকালে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ২৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, গতকাল সকাল ৬টার দিকে নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। শুরুটা মুষলধারে হলেও পরে বেগ কমে আসে। বেলা ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টিতে নগরীর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, চকবাজার, কাপাসগোলা, বাকলিয়া, ডিসি রোড, চান্দগাঁও, অক্সিজেন-বায়েজিদ সড়ক, আগ্রাবাদসহ নগরের বিভিন্ন নিম্ন এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়। নগরের ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হতেই সড়কে দেখি হাঁটু পরিমাণ পানি। সড়কে নেই রিকশা। তাই বাধ্য হয়েই ময়লা পানি মাড়িয়ে অফিসে আসতে হলো। নগরের চকবাজার মুহাম্মদ আলী শাহ দরগাহ লেনের বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, গত বছর ঈদের দিন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। এবার ঈদের তৃতীয় দিন হলো। এভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে আনন্দ মাটি হয়ে যায়। 

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। এখন যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে তা মূলত খাল-নালা জ্যাম থাকার কারণে। কারণ অনেক দিন বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-নালাগুলো জ্যাম হয়ে আছে। সামনের দিনগুলোতে জলাবদ্ধতা আরও কমবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতাবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, গতকাল সকালে কোনো কোনো স্থানে পানি জমেছিল। পরে তা দ্রুত নেমে যায়। তবে মুরাদপুর থেকে ২ নম্বর গেট পর্যন্ত খাল ভরাট করে রিটেইনিং ওয়ালের কাজ চলছে। তাই হয়তো এ এলাকায় পানি জমেছিল। মে মাসের মধ্যে খাল পরিষ্কার করা হয়ে যাবে। এ ছাড়া চকবাজার-বাকলিয়া অংশেও খালে কয়েকটা বাঁধ আছে। সেগুলোও তুলে দেওয়ার কথা। বর্ষা আসার আগ পর্যন্ত কাজ চলবে। এরপর বাঁধগুলো খুলে দেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার দুটি কাজ করছে সিডিএ। কিন্তু কাজগুলোর আশানুরূপ অগ্রগতি নেই।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর