শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রাচীন স্থাপত্যের প্রতীক তিন গম্বুজ শাহী মসজিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রাচীন স্থাপত্যের প্রতীক তিন গম্বুজ শাহী মসজিদ

প্রাচীন স্থাপত্যের প্রতীক হয়ে আছে রাজশাহীর পবার তিন গম্বুজ শাহী মসজিদ। এর অসাধারণ নির্মাণশৈলী আজও নজর কাড়ছে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। আধুনিক স্থাপত্য শিল্পে অনন্য নজির হয়ে আছে এই মসজিদ। প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ হিসেবে ঐতিহাসিক মসজিদটি সংরক্ষণ করছে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর।

রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার প্রত্যন্ত গ্রাম বাগধানীতে আছে এই মসজিদটি। যেখানে জড়িয়ে আছে সময়ের নানান উপাখ্যান। রাজশাহীতে কালের সাক্ষী হয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা হাতে গোনা কয়েকটি মসজিদের মধ্যে এটি একটি। আগের সেই চাকচিক্য ও জৌলুস না থাকলেও এটি প্রাচীনকালের নান্দনিক নিদর্শন।  প্রায় ২৫০ বছর আগের ঐতিহ্যের স্মারক বহন করছে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদটি। এর প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী যে কোনো পর্যটককে খুব সহজেই মুগ্ধ করে। জনশ্রুতি আছে, এক সময় মনবাসনা পূরণ করতে সবাই এই মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতেন। এ জন্য দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ যেতেন সেখানে। এখনো একটু প্রশান্তির পরশ পেতে শহরের কোলাহল ঠেলে মানুষ ছুটে যান সেখানে। মসজিদটির ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে সদর দুয়ার। সেখানে ফারসি হরফে লেখা একটি শিলালিপি আছে। যেখানে কালো অক্ষরে লেখা আছে মুন্সি মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ বাংলা ১২০০ সালে নির্মাণ করেছেন এই শাহী মসজিদটি। তিন হাজার ২০০ বর্গফুট আয়তনের শাহী মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট। মসজিদটির তিনটি মেহেরাব, তিনটি দরজা, দুটি জানালা ও একটি মিনার আছে।

মসজিদটির চার দিকে আছে মনমুগ্ধকর নকশা করা গম্বুজ আকৃতির নান্দনিক পিলার। মাথার ওপরে আছে তিনটি সুদৃশ্য গম্বুজ। এ ছাড়া শাহী মসজিদের চারপাশের দেয়ালের ভিতর ও বাইরে চীনামাটিতে মনোরম নকশা আছে। পবার বাগধানী গ্রামের আশরাফ আলী বলেন, একসময় মনবাসনা পূরণের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে মুসল্লিরা আসতেন। নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। সেই আশায় এখনো প্রতি শুক্রবার সেখানে মুসল্লিদের ভিড় হয়। ১৯৯০ সালের ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়দের মতে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর মসজিদটির প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নিলে এটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিতে পারে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর