নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গাজীপুরে শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দরাবাদে মরহুমের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া, স্মরণসভা ও খাবার বিতরণ করা হয়। দুপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এতে সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার একজন দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি খুব দ্রুত সময়ে শ্রমিকদের মাঝে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছিলেন। যার কারণে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি শিক্ষক থেকে শ্রমিক নেতা হয়ে মেহনতি মানুষের খুব কাছে যেতে পেরেছিলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাে র সঙ্গে যারা জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে রায় হয়েছে, সেই রায়টা দ্রুত কার্যকর করার জন্য আশা ব্যক্ত করি। আমরা চাইব আগামী মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আগেই যেন এ রায় কার্যকর করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় এবং ফাতেহা পাঠ করে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, আহসান উল্লাহ মাস্টার ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ চলাকালে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন।
