মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বাভাবিক জ্বালানি তেলের সরবরাহ, নেই সংকট

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে জ্বালানি তেলের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কোনো সংকট বর্তমানে নেই বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)-এর আওতাধীন তেল বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারা দেশে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পরিবহনে প্রাধান্য দেওয়া এবং ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে উত্তরাঞ্চলের ডিপোসমূহে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহে কিছুটা দেরি হয়। বর্তমানে সারা দেশে অকটেন ও পেট্রোলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মে ও জুন মাসে প্রয়োজন অনুযায়ী অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই সূচি অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ছে। অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় বেসরকারি প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩৬ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুদ, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, খুলনার দৌলতপুর হতে পার্বতীপুর ও চট্টগ্রাম হতে রংপুরে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও ঈদে যাত্রী পরিবহনে প্রাধান্য দেওয়ায় এবং ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু ডিপোতে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহে দেরি হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অন্যান্য জ্বালানি তেলের মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। জ্বালানি সংকটের কথা বলে কেউ যদি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে অকটেন ও পেট্রোল বিক্রয় করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রেতাদের কোনোভাবেই নির্ধারিত মূলোর চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে অকটেন ও পেট্রোল ক্রয় না করার অনুরোধ করা হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর