মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় নানা সংকটে নারী উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ব্যাংক ঋণ পেতে পর্যাপ্ত কাগজপত্র না থাকা, সরকারি চাকরিজীবী গ্রান্টার না থাকা, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অনীহাসহ নানা সংকটে নারী উদ্যোক্তারা। ফলে করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ এ অঞ্চলের অসংখ্য ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা ব্যবসা চালু রাখতে পারেননি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম না জানা, মনিটরিংয়ের অভাব ও অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করায় এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘অ্যাক্সেস টু ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সেমিনারে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

এতে বাংলাদেশ ব্যাংক, খুলনার নির্বাহী পরিচালক হাসান রেজা, ডিজিএম (এসএমই) শেখ শাহরিয়ার রহমানসহ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ব্র্যাকের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্তকরণে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রোগ্রাম অফিসার জায়েদুন্নবী জানান, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ ১১টি জেলার ১০৪০ জন নারী উদ্যোক্তাকে ব্যবসা সফল করতে তাদের প্রশিক্ষণসহ, ক্ষুদ্রঋণ পেতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্তকরণের কাজ করছে সংস্থাটি। নারী উদ্যোক্তা নুরুন্নাহার লিলি জানান, সরকারি চাকরিজীবী গ্রান্টার ছাড়া নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্রঋণ দিতে চায় না।

বিনা জামানতে ঋণ না দেওয়া, জমি বা সম্পত্তির দলিলপত্র না থাকা, ঋণ দিলে টাকা ফেরত আসবে না- এসব নানা কথা বলে হয়রানি করা হয়। এ ছাড়া ঝামেলা এড়াতে কমসংখ্যক ব্যক্তিকে বড় অঙ্কের ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো টার্গেট পূরণ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কম সুদে পুনঃঋণের কথা বলা হলেও আগের ঋণের টাকা শোধ না করলে নতুন ঋণ দেওয়া হচ্ছে না।   

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, ঋণ প্রদানে সরকারি গ্রান্টার বাধ্যতামূলক নয়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষুদ্রঋণ নেওয়ার পর উদ্যোক্তারা সময়মতো ঋণের টাকা পরিশোধ করেন না। আবার অনেকেই নিজের ব্যবসাকে সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে যেনতেনভাবে ব্যাংক ঋণ নিতে চায়। নারী উদ্যোক্তারা পারলার ও বুটিকসে সীমাবদ্ধ থাকেন। ব্যবসায়িক বৈচিত্র্য না থাকায় প্রতিযোগিতার বাজারে ব্যাংক ঋণ নিয়েও তারা সুবিধা করতে পারছেন না। ফলে অনেক ব্যাংক তাদের ঋণ দিতে আগ্রহী হয় না। তবে সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করলে ঋণের অভাব হবে না বলে আশ্বস্ত করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের বিভাগীয় সমন্বয়কারী আবু সাঈদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর