বুধবার, ১১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন দিগন্তে খুলনা শিপইয়ার্ড

২ টাগ বোট, ৬ হাইস্পিড বোট ও ১ ফ্লোটিং ক্রেন হস্তান্তর আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

নতুন দিগন্তে খুলনা শিপইয়ার্ড

নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি ২০২০-২১ অর্থবছরে নিট মুনাফা অর্জন করেছে ৪৩.২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি নৌবাহিনীর জন্য বিভিন্ন যুদ্ধ জাহাজ, টাগ বোট, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল, কোস্ট গার্ডের জন্য ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল, পায়রা বন্দরের জন্য হেভি ডিউটি স্পিডবোট ও পাইলট ভেসেল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য ফায়ার ফ্লোট ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য ইলিশ গবেষণা জাহাজ হস্তান্তর করেছে। এবার কোস্ট গার্ডের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড দুটি টাগ বোট, ছয়টি হাইস্পিড বোট ও একটি ফ্লোটিং ক্রেন তৈরি করেছে। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব নৌযান হস্তান্তর করা হবে। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে ডকইয়ার্ডে নির্মিত একটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল কোস্ট গার্ডকে হস্তান্তর করা হবে।

জানা যায়, বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ৬৫ বছর আগে যাত্রা শুরু করে। নানা অব্যবস্থাপনায় ৮০-এর দশকের মাঝামাঝি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় শিপইয়ার্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে খুলনা শিপইয়ার্ডকে নৌবাহিনীতে হস্তান্তরের পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানটি। খুলনা শিপইয়ার্ডের কর্মকর্তারা জানান, ৯০-এর দশকে ৯৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লোকসানের ভারে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় পড়ে শিপইয়ার্ড। সেই অবস্থা থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ড। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে খুলনা শিপইয়ার্ড ছোট বড় জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতসহ বিভিন্ন খাতে সর্বোচ্চ ১৬৫ কোটি টাকা আয় করে। জানা যায়, খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত অত্যাধুনিক টাগ বোটে ফায়ার ফাইটিংসহ সাড়ে ৩ হাজার টন ওজনের জাহাজের বার্থিং/আন বার্থিং, দুর্ঘটনাকালীন অন্য জাহাজকে সহযোগিতা ও ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার অভিযান চালানো যাবে। ফ্লোটিং ক্রেনের সাহায্যে ৩৫ টন ওজনের ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধার এবং বিভিন্ন প্রকার মেশিনারি জাহাজ থেকে তীরে ও তীর থেকে জাহাজে পরিবহন করা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর