বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি খুলনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি খুলনায়

থাইল্যান্ড থেকে ভেনামি জাতের চিংড়ির পোনা এনে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। এর মধ্যে খুলনার ছয়টি, সাতক্ষীরার একটি ও যশোরে একটি প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছর থেকেই ভেনামি চাষের জন্য বলা হয়। বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামো সংস্কারের পর প্রতিবেদন দাখিলের পর ভেনামি চাষে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল তথ্য নিশ্চিত করেন। এর বাইরে কক্সবাজারের দুই প্রতিষ্ঠানকেও পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়। জানা যায়, ব্যবসায়ী-রফতানিকারকরা বেশ কয়েক বছর ধরে লাভজনক ভেনামি চাষের দাবি জানিয়ে আসছিল। গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ বছরে একবারের বেশি করা যায় না। আর ভেনামি চাষ করা যায় বছরে তিনবার। সাধারণ পুকুরে প্রতি হেক্টরে ৩০০-৪০০ কেজি বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। অন্যদিকে একই পরিমাণ জমিতে সাত-আট হাজার কেজি ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। এদিকে ৯ মে এমইউসি ফুডস থাইল্যান্ড থেকে ১২ লাখ ভেনামি জাতের পোনা এনে পাইকগাছার লবণ পানি গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে চাষ শুরু করেছেন। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- খুলনার বটিয়াঘাটার ফাহিম সী ফুডস, পাইকগাছা গ্রোটেক একোয়াকালচার লিমিটেড, কয়রার আয়ান শ্রিম্প কালচার, ডুমুরিয়ার ইএফজি একোয়া ফার্মিং, বটিয়াঘাটার জেবিএস ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সাতক্ষীরা শ্যামনগরের রেডিয়েন্ট শ্রিম্প কালচার-১।

এ ছাড়া প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সংস্কার করে চিংড়ি চাষের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সাতক্ষীরার দেবহাটার মেসার্স আল হেরা মৎস্য প্রকল্প, নলতা আহছানিয়া ফিশ, খুলনার রূপসার ফ্রেশ ফুডস লিমিটেড ও জেমিনি সি ফুডস লিমিটেডকে। 

এমইউসি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস বলেন, চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজারে ৮১ ভাগই ভেনামির দখলে। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আমাদের দেশে ভেনামি চাষে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য পাওয়া গেলে ভেনামি চাষে অনুমতি দেবে সরকার। আধা নিবিড় পদ্ধতিতে ভেনামি চিংড়ি অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায়। ৯০-১২০ দিনের মধ্যে চিংড়ি সংগ্রহ করা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর