বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই

বিশেষ প্রতিনিধি

এবার সব প্রকার ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক-কর প্রত্যাহার চেয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটি বলেছে, তেল আমদানি প্রক্রিয়া আরও সহজ করা দরকার। ইতোমধ্যে সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর থাকা শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বৈশ্বিক অস্থির পরিস্থিতিতেও দেশে তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তাই ভোজ্য তেলের সংকট এড়াতে সয়াবিন ও পাম তেলের বাইরে সানফ্লাওয়ার, অলিভ অয়েল, ক্যানোলাসহ অন্যান্য পরিশোধিত তেল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমানে এসব তেলের ওপর ৩০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য রয়েছে।

গতকাল মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে ‘ভোজ্য তেলের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি’ পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ভোজ্য তেলের সংকট চলছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এই সংকট আরও প্রকট হয়েছে। সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর উৎপাদন কমে গেছে। ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি বন্ধ করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে গেছে। জাহাজ ভাড়া বেড়েছে।

তা সত্ত্বেও ৫/৬টি কোম্পানি তাদের সাধ্যমতো ভোজ্য তেল আমদানি করে দেশে তেলের সরবরাহ সচল রাখার চেষ্টা করছে। তবে সংকট দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। শুধু সয়াবিন তেল দিয়ে চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে সানফ্লাওয়ারসহ যত পরিশোধিত তেল আছে সেগুলো আমদানির পথ সুগম করতে হবে। এর জন্য এসব তেলে থাকা সব ধরনের শুল্ক-ভ্যাট ট্যাক্স তুলে নিতে হবে। তাহলে দেশে এ ধরনের তেলের পর্যাপ্ত আমদানি হবে এবং তা ক্রেতা পর্যায়ে কেনা সহজলভ্য হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবি ১ কোটি পরিবারের কাছে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দুই দফায় দুই লিটার করে মোট ৪ কোটি লিটার তেল দিয়েছে। সংকটের মুহূর্তে এটা খুবই মানবিক উদ্যোগ। আমরা এর জন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু টিসিবির এই উদ্যোগ আরও এক-দেড় বছর আগে থেকে প্ল্যান প্রোগ্রাম করার প্রয়োজন ছিল। তারা স্থানীয় বাজার থেকেই ৪ কোটি লিটার তেল কিনেছে। এর ফলে বাজারে ভোজ্য তেলের একটি ঘাটতি তৈরি হয়েছে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি দাবি করেন, টিসিবি স্থানীয় বাজার থেকে তেল না কিনে যদি বিশ্ববাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে কিনে আনত, তাহলে বাজার পরিস্থিতি এর চেয়ে ভালো রাখা সম্ভব হতো। ভবিষ্যতে এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখলে টিসিবির নিজস্ব বিক্রি কার্যক্রমের পণ্যগুলো আমদানির মাধ্যমে কিনে গুদামে মজুদ রাখার পরামর্শ দেন জসিম উদ্দিন। তবে বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়া তেল গ্রাহকদের না দিয়ে বেশি দামে বিক্রির জন্য লুকিয়ে রাখার যে ঘটনায় তোলপাড় এখন দেশজুড়ে, সে বিষয়ে কিছুই বলেননি এফবিসিসিআই প্রধান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর