শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

জমির ধান না কাটায় শ্রমিক হত্যা, গ্রেফতার দুই ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় ধান কাটতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন নেত্রকোনার মদন থানার নায়েকপুর এলাকার শ্রমিক খায়রুল মিয়া (২৯)। তবুও অন্য শ্রমিকদের নিয়ে ধান কেটে দিতে খায়রুলকে জোর করা হয়। দেওয়া হয় হুমকিও। তাতেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন দিনমজুর খায়রুল। আর এ ধান না কাটার সিদ্ধান্তই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জীবনে। পেটানোর পর কাস্তে দিয়ে গলা কেটে খায়রুলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক দুই ভাই শফিকুল ইসলাম ও মোস্তাকিন ইসলামকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এসপি মুক্তা ধর বলেন, গত বুধবার গাজীপুরের গাছা থানার শরীফপুর এলাকা থেকে ঘাতক দুই ভাই শফিক ও মোস্তাকিনকে গ্রেফতার করা হয়।

 প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তাদের দুলাভাই হক মিয়া নেত্রকোনার মদন থানার নায়েকপুর ইউনিয়নের মাখনা সাকিন এলাকায় ৪০ শতাংশ জমি কিনে ধান চাষ করেন। জমি বিক্রেতা এখলাছ মিয়ার ভাই এলাই মিয়া ওই জমির অর্ধেক অংশের মালিকানা দাবি করে তাদের দুলাভাই হক মিয়াকে ধান কাটতে নিষেধ করেন। তখন তাদের দুলাভাই লোকজনসহ ভিকটিম খাইরুলের কাছে গিয়ে অন্য শ্রমিক নিয়ে জমির ধান কেটে দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে গেলে দাঙ্গা-হাঙ্গামার শঙ্কা থাকায় খাইরুল ধান কাটতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ধান কেটে না দিলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে হক মিয়া চলে যান। গত ৫ মে সকালে খাইরুল তার গরুর ঘাস কাটছিলেন। এ সময় আসামিরা এসে দেখেন ধান না কেটে খাইরুল ঘাস কাটছেন। ঘাস কাটা বন্ধ করে জমির ধান কাটতে বললে খাইরুল আবারও অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে খাইরুলকে মারপিট করতে থাকেন। একপর্যায়ে খাইরুলের হাতে থাকা ঘাস কাটার কাস্তে ছিনিয়ে নিয়ে তা দিয়েই তার গলায় আঘাত করেন আসামি শফিকুল। তখন অন্য আসামিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর