শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

জনবল সংকটে রাজশাহীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো

বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মানুষ চিকিৎসা পেতে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবার ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু জনবল-সংকট নিয়ে চলছে রাজশাহীর সব কটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ সব পদেই জনবল প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা। রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ আছে ১ হাজার ১৭৫টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৭৮১ জন। মোট জনবলের ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ ঘাটতি নিয়েই চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র পাঁচজন। সবচেয়ে বড় উপজেলা বাগমারায় ৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র পাঁচজন। চারঘাটে পদ থাকলেও নেই ১০ জন চিকিৎসক। এখানে কর্মরত ৯ জন। দুর্গাপুরে ১৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিপরীতে আছেন ৯ জন। গোদাগাড়ীতে ৯ জনের জায়গায় ছয়জন। মোহনপুরে পাঁচজন চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। তানোরে ১৯ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র সাতজন। পবা ও পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কয়েকজন করে চিকিৎসকের পদ শূন্য। জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গ্রামের প্রায় ২৪ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ সেবা নিতে যান। কিন্তু জনবল সংকটে সেবা দিতে হিমশিম খায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। তাই গ্রামের মানুষকে আসতে হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জনবল সংকটের কারণে কয়েকটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতি মায়েদের অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে গেছে। ভালো সেবা না পাওয়ার কারণে ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলোর বেশির ভাগ শয্যা বছরের প্রায় সময় খালি থাকে। আর তাই দেশের প্রথম ৩০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যেও স্থান নেই রাজশাহীর কোনোটির।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তালিকায় রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ৩৮তম স্থানে। এ ছাড়া তানোর ৭২তম, পবা ১০১তম, মোহনপুর ১০২তম, দুর্গাপুর ১০৬তম, বাঘা ১৪০তম, গোদাগাড়ী ১৪৫তম, পুঠিয়া ১৪৬তম এবং বাগমারা ১৬৫তম অবস্থানে আছে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, জনবল সংকট কাটাতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিম্নপদের কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে সংকট কিছুটা কাটবে। কিন্তু চিকিৎসক-নার্সের সংকটগুলো থেকেই যাচ্ছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব খানে জনবল দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহীতে যেসব ফাঁকা পদ আছে, সেখানেও লোক আসবে। তখন সংকট থাকবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর