শিরোনাম
রবিবার, ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

সহিংসতায় জড়াচ্ছে খুলনা বিএনপি!

খালিশপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলায় যুবদলের দুই নেতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

নেতৃত্বের কলহে এবার সহিংসতায় জড়াচ্ছে খুলনার বিএনপির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। খালিশপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হচ্ছেন- খালিশপুর থানা যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু ও আরিফুর রহমান। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আহত ফজলে হালিম লিটন বিদায়ী বিএনপির মহানগর কমিটির শীর্ষ দুই নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও আরিফুর রহমান মিঠুর অনুসারী। আর গ্রেফতার হওয়া যুবদল নেতারা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির সক্রিয় সদস্য।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল জেলা বিএনপি ইফতার মাহফিলে চেয়ারে বসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারির ঘটনায় যুবদলের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৩০ ডিসেম্বর নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মানববন্ধনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল কর্মীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করেই মাঠে সক্রিয় রয়েছে বিদায়ী মহানগর কমিটির নেতা মঞ্জু-মিঠুর সমর্থকরা। রমজান মাসে আলাদা ইফতার কর্মসূচির পর ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের শীর্ষ নেতারা কর্মী- সমর্থকদের নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। খালিশপুরে ফজলে হালিম লিটনের বাড়িতে ঈদ উপলক্ষে মিলিত হন নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আরিফুর রহমান মিঠুসহ অন্য নেতারা। এর কয়েক দিনের মধ্যে ৮ মে রাতে ফজলে হালিম লিটনকে তার বাড়ির গেটে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে খালিশপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন লিটন। পুলিশ এর পরই ওই ঘটনায় যুবদলের ওই দুই নেতাকে গ্রেফতার করে। এদিকে বিএনপি নেতার ওপর হামলার ঘটনায় যুবদল নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনাকে নিন্দা জানিয়েছে মহানগর আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

 গতকাল বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা জানান, বিএনপি নেতার ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ সরকারি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। সারা দেশে যখন বিএনপি আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়, সে মুহূর্তে খুলনা বিএনপিকে বিভক্ত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি চক্র। হয়রানিমূলক যুবদল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মহানগর সভাপতি মঞ্জুসহ কমিটির শীর্ষ সব নেতাকে বাদ দিয়ে নগর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে বিএনপির সাবেক জেলা সভাপতি শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক করা হয়। এর পরই নগর বিএনপিতে বিভক্তি চরমে পৌঁছে। মহানগর ও থানা বিএনপির একটি বড় অংশ পদত্যাগ করে মঞ্জু-মিঠুর সমর্থকদের আলাদা কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর