মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজশাহীর সবখানেই শব্দদূষণ

মুক্ত শিল্প এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শিল্প এলাকা ছাড়া রাজশাহীর সবখানেই শব্দদূষণ হচ্ছে। বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে সম্প্রতি শব্দের মানমাত্রা পরীক্ষা করে দেখে এ কথা জানানো হয়েছে। বারিন্দ এনভায়রনমেন্টের সহযোগিতায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান জানান, সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন এলাকাকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, মিশ্র এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা এবং শিল্প এলাকা। রাজশাহী শহরের শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য চার জায়গায়ই শব্দদূষণ হচ্ছে।

তিনি জানান, নীরব এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রা থাকতে হবে ৫০ ও ৪০ ডেসিবেল। কিন্তু রাজশাহীর ঘোষিত নীরব এলাকায় দিনে শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া গেছে ৮৪ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রা থাকতে হবে ৭০ ও ৬০ ডেসিবেল। তবে রাজশাহীর বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া যায় ৮৮ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে। এভাবে সব ক্যাটাগরিতেই শব্দের মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে। শুধু শিল্প এলাকায় শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা পাওয়া গেছে। শিল্প এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রা থাকতে হবে ৭৫ ও ৭০ ডেসিবেল। রাজশাহীর শিল্প এলাকায় শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া যায় ৭৪ ডেসিবেল। প্রাপ্ত মানগুলো থেকে দেখা যায়, শিল্প এলাকা ছাড়া অন্যসব জায়গায় শব্দের নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করেছে। যা মানুষের  জন্য ক্ষতিকর।

শব্দের মানমাত্রার বিষয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) অধ্যাপক ইকবাল মতিন বলেন, পরিবেশবান্ধব শহরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যত্রতত্র হর্ন না বাজানোর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নির্মাণ কাজে শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাখাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ, শব্দদূষণে শিশুরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শব্দদূষণের প্রভাব শুধু মানুষের ওপর নয়, প্রতিটি পশু-পাখির ওপরেও পড়ে। এ বিষয়ে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর