মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

আনভীরের নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাবে বাজুস

বরগুনায় সভা

বরগুনা প্রতিনিধি

আনভীরের নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাবে বাজুস

‘আমাদের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বাজুস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বর্ণ নীতিমালা বাস্তবায়ন করবে। যার মধ্য দিয়ে শত বছরের কাক্সিক্ষত জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নের যে দাবি ছিল তা পরিপূর্ণ হবে। বাজুস জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাবে সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে। জুয়েলারি শিল্প ফিরে পাবে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য।’ এমনই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার রায়। বরগুনা পৌরশহরের বন্দর ক্লাব মিলনায়তনে গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বরগুনা জেলা শাখার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি। সভার শুরুতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলার নেতারা। এরপর কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। দিলীপ কুমার রায় আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণ নীতিমালা বাস্তবায়নে কাজ করছে বাজুস। এ নীতিমালার শতভাগ বাস্তবায়ন করতে আগামী দিনে আমাদের এ দেশে শিল্পায়ন গড়ে তুলতে হবে। জুয়েলারি ফ্যাক্টরি করতে হবে। অর্নামেন্টস ফ্যাক্টরি করতে হবে। আমাদের সভাপতির নেতৃত্বে এসব কাজ বাস্তবায়ন করে আমরা এ দেশে জুয়েলারি শিল্পের বিপ্লব ঘটাব।’ এ সময় তিনি জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরদের উন্নয়নে কাজ করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের সহসম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বর্ণ খাতে প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও এ খাতটি এত দিন ঝিমিয়ে ছিল। বাজুসের নতুন সভাপতি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে স্বর্ণ ব্যবসা আলোর মুখ দেখেছে। তাঁর আহ্বানে সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এক কাতারে শামিল হচ্ছেন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ঐক্যের বিকল্প নেই।’ বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সহসম্পাদক ও সদস্যসচিব মো. জয়নাল আবেদীন খোকন বলেন, ‘আগামী দিনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যবসা করতে হবে। কোনো অবৈধ ব্যবসায়ীর ব্যবসা করার সুযোগ নেই। তাই সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বাজুসে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। স্বর্ণ বেচাকেনার সময় গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও মুঠোফোন নম্বর মেমোতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’ বাজুস বরগুনা জেলা আহ্বায়ক রণজিত কর্মকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদস্যসচিব মো. রিপুনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্রচন্দ্র ঘোষ, বাজুস বরগুনা জেলা সভাপতি উত্তম কর্মকার, সাবেক সভাপতি সন্তোষ কর্মকার, দিলীপ কর্মকার, গোপাল কর্মকার, জেলা সাধারণ সম্পাদক সমরেশ কর্মকার প্রমুখ। জেলা কমিটির নেতারা জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, ইন্স্যুরেন্স চালু ও স্বর্ণ ব্যাংক করার দাবি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর