শেষ কর্মদিবসে কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ব্যস্ত সময় পার করেছেন। গতকাল সকাল থেকে বিভিন্ন কাজের ফাইল নিয়ে অপেক্ষা করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। সহস্রাধিক ফাইল স্বাক্ষর করেছেন বলে করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতিবৃষ্টি, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ফোরলেনের কাজের কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর কোন দেশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় না? স্থায়ী সমাধান আল্লাহ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। জলাবদ্ধতার কারণে লন্ডন শহরেও তিন দিন পানি ছিল! বিএনপি নেতা সাক্কু বলেন, যানজট নিরসনে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। চকবাজার ও শাসনগাছা বাস টার্মিনাল সরানোর জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণেরে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এতে যানজট কমবে। পাশাপাশি, শহরের অটোরিকশাসহ পরিবহনগুলো দুই ধাপে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, গত ১০ বছরে ৬৫০ কোটি টাকা পেয়েছি। যার মধ্যে অল্প কিছু টাকা একনেক দিয়েছে। সম্প্রতি একনেকে ১৫৩৮ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী এগুলো ওয়ার্ড অনুসারে ভাগ করে দিয়েছেন। এতদিন টাকার অভাবে অনেক কাজ করতে পারিনি। এবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজ সম্পন্ন করব। আমি মনে করি, গত নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী ৬০-৬৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৬ জনের একটি তালিকায় জেলার মাদক কারবারিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নাম আসে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাক্কু বলেন, ‘রিফাত ভাইয়ের নাম এসেছে। আমার নাম আসলেও সংবাদ সম্মেলন করে আমার অবস্থান সম্পর্কে জানাতাম। রিফাত ভাই এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেন। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যদি সঠিক না হয় তিনি তথ্য অধিকার আইনে মামলা করতে পারেন।’উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মনিরুল হক সাক্কু স্বতন্ত্র ও বিএনপির ব্যানারে টানা দুইবার কুমিল্লা সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।
