বুধবার, ১৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে নানা কর্মসূচি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

আলোচনা ও কবিতার মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি পালন করেছে বাংলা একাডেমি। একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিসচিব মো. আবুল মনসুর। এতে আরও বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা করেন একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে নিবেদন করে ‘বাঙালির চিত্তে চিরদিন’ শীর্ষক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

ছাত্রলীগের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতারা ও বিপুল সংখ্যক কর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন এবং স্লোগান দেন। শোভাযাত্রাটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার যায়। সেখান থেকে ফুলার রোড হয়ে ভিসি চত্বরে এসে শেষ হয়।  শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জিয়া প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা যাতে এদেশে আসতে না পারেন, এ জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি দেশে ফিরেছিলেন এবং মানুষের আস্থার জায়গা নিতে পেরেছিলেন। আজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন।

সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৭৫ সালের পনেরো আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে আবারও বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারকে দিয়ে দেশ পরিচালনার সিদ্ধান্ত মানুষ নিয়েছিল। যার ফল হিসেবে আজকের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ দেখতে পাচ্ছি। ঐতিহাসিক এই দিনটি আমরা পালন করছি। ছাত্রলীগের অন্যান্য ইউনিটও এই দিবসটি পালন করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর