সোমবার, ২৩ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
দুটি এমআরআই মেশিনই নষ্ট

বিপাকে চট্টগ্রামের অসহায় রোগীরা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বৃহত্তর চট্টগ্রামের গরিব-অসহায় রোগীর চিকিৎসায় একমাত্র নির্ভরযোগ্য সেবা কেন্দ্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। সরকারি এ দুই হাসপাতালে দুটি অতি জরুরি রোগনির্ণয় উপকরণ এমআরআই মেশিন রয়েছে। বর্তমানে দুটি মেশিনই নষ্ট। ফলে রোগীদের বাধ্য হয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি মূল্যে বেসরকারি ল্যাব থেকে এমআরআই করাতে হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন গরিব-অসহায় রোগীরা। জানা যায়, চমেক হাসপাতালে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা জাপানি ‘হিটাচি ১.৫ টেসলা’ মডেলের অত্যাধুনিক মেশিনটি চালু করা হয়। ক্রয় চুক্তি মতে, তিন বছরের ওয়ারেন্টি ছিল। এর আগেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় মেশিনটির। ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ওই সময় প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর চালু হয়। এরপর ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর এবং ১৩ ডিসেম্বর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। সর্বশেষ ১৬ মে ফের ত্রুটি দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় ব্যয়বহুল সেবাটি। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০টি এমআরআই করা যেত।

 অন্যদিকে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২০১৫ সালে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি এমআরআই মেশিন স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর কয়েক বছর রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নষ্ট হয়ে পড়ে আছে চীনা এ যন্ত্রটি। দীর্ঘদিন অচল থাকায় অন্যান্য যন্ত্রাংশও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এটি নিয়ে মামলাও চলমান।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এখানকার এমআরআই মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরেই নষ্ট। আমরা চেষ্টা করছি নতুন একটি মেশিন যুক্ত করার জন্য।’ 

চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার বলেন, ‘১৬ মে হাসপাতালের এমআরআই মেশিনটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে এখন রোগীর সেবা বন্ধ আছে। তবে এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন একটি মেশিনের জন্যও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর