শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

অনুপ্রবেশ ও বিতর্কিতদের ঠেকাতে সতর্ক কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অনুপ্রবেশ ও বিতর্কিতদের ঠেকাতে সতর্ক কেন্দ্র

রাজনৈতিক অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন সম্মেলন হয়নি চট্টগ্রাম যুবলীগের। যুবলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগরের পৃথক সম্মেলনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনে আজ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হচ্ছে পটিয়া উপজেলায়। রবিবার উত্তর জেলার সম্মেলন হবে হাটহাজারীতে এবং সোমবার নগর যুবলীগের সম্মেলন হবে নগরীতে। সম্মেলন ঘিরেই উৎসব চলছে চট্টগ্রামে। সঙ্গে বিভিন্ন পদ-প্রত্যাশীর পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানারেই ছেয়ে গেছে সম্মেলন এলাকা।  কমিটিতে অনুপ্রবেশ ও বিতর্কিতদের ঠেকাতে সতর্ক কেন্দ্র।  ঘোষণা আসছে না নতুন কমিটির।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বে আসতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে আগ্রহী নেতারা সিভিও জমা দিয়েছেন। জমা দেওয়া সিভিতে রয়েছেন দলের ভিতরে বিএনপি-জামায়াত কানেকশন অনুপ্রবেশকারী নেতারাও। তাছাড়া চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দলীয় নেতা খুন, হামলা, নির্যাতনের মামলার আসামিসহ বিতর্কিতরাও রয়েছেন জমা দেওয়া তালিকায়। তবে এসব অনুপ্রবেশকারী এবং বিতর্কিত নেতাদের ঠেকাতে সতর্ক রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনস্থলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, পাল্টাপাল্টি মিছিল, নানামুখী উত্তপ্ত পরিস্থিতির আশঙ্কায় কেন্দ্রীয়ভাবে বিশেষ নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ আছে- দলীয় নেতা খুন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হত্যাচেষ্টা, অত্যাধুনিক একে-২২ রাইফেলসহ গ্রেফতারকৃত, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিদাতা, দলীয় কমিটিতে থেকে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত, জায়গা দখল, হুমকিদাতাসহ নানাভাবে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামিরাও যুবনেতা হতে চান। চসিকের কয়েকজন কাউন্সিলরসহ বিতর্কিতরাও রয়েছেন পদ-প্রত্যাশীর তালিকায়। তবে অভিযুক্তদের কয়েকজন বলছেন, এসব তাদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের কারণে বিভিন্ন সময় মামলা, খুনের আসামি, দলীয় কোন্দলে কৌশলে নাম জড়ানো হয়েছে। এতে নির্দোষও প্রমাণিত হয়েছে এবং মামলাও চলমান আছে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, যুবলীগের সম্মেলন মানেই হচ্ছে মিলনমেলা। এই মিলনমেলায় কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা উপস্থিত থাকবেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে সিদ্ধান্ত হবে, কারা আসবে নতুন নেতৃত্বে। কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী এবং বিতর্কিতদের ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা জানান, যুবলীগের তিন সাংগঠনিক কমিটির নতুন নেতৃত্বে আসতে অনেকেই সিভি জমা দিয়েছেন। নেতা নির্বাচন ঘোষণার পর পক্ষে-বিপক্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ নানা সমস্যা ঠেকাতে সম্মেলন বা দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে নেতা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক   আবদুল মালেক জনির মা খালেদা বেগম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলন কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকুতি জানান, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটিতে ছেলের খুনিদের পদ-পদবি না দিতে। সন্তানহারা মা  হিসেবে ছেলের খুনিরা যাতে যুবলীগের কোনো পর্যায়ে পদ না পায় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ    হাসিনা, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে  নাঈমসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের কাছে ফরিয়াদ জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর