রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে অনামিকা সরকার (২১) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
অনামিকার পরিবার বলছে, তার স্বামীর নাম রাজ কুমার বিশ্বাস। কারণে-অকারণে অনামিকাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন রাজ। আর এই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন তেজগাঁও থানার এসআই আমিনুল ইসলাম। তিনি সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর অনামিকা ও রাজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। অনামিকার মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া অনামিকার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে দাগ রয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার দাতিয়ারায় অবকাশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সের শ্রাবণা ভবনের নিচতলায় থাকতেন অনামিকা। ২২ মে তাদের মধ্যে আগের মতো ঝগড়া-বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে অনামিকা ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে রাজধানীর মহাখালীতে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে অনামিকার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, অনামিকার বাবার নাম অখিল কুমার সরকার ও মায়ের নাম অঞ্জনা সরকার।
তেজগাঁও থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে অনামিকার মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।