মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশে ধূমপায়ী কমেছে ৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে ৮ শতাংশ। ২০০৯ সালে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে এই সংখ্যা কমে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একুশে পদক বিজয়ী, শব্দ সৈনিক ও মানস সভাপতি অরূপ রতন চৌধুরী এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধু ক্যান্সারই নয়, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ধূমপান ছাড়তে হবে।

মানস সভাপতি অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, তামাকজনিত মৃত্যু সারা বিশ্বে ৮০ লাখ। আর কোনো রোগেই এত বেশি মৃত্যু হয় না। সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাসহ আর কোনো ক্ষেত্রেই এত বেশি মৃত্যু ঘটে না। বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। বিশ্বের ১১০ কোটি ধূমপায়ীর মধ্যে ৮০ কোটির অবস্থানই নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশ বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩০ শতাংশ কর্মস্থল ও ২১ শতাংশ পাবলিক প্লেসে নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। এ জন্য নারীরা ধূমপানে শিকার হয়ে ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

 অথচ নারীদের মধ্যে ধূমপানের হার অত্যন্ত কম। এ জন্য প্রকাশ্য ধূমপানে শাস্তি দিতে হবে।

অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর আড়াই লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন নতুন করে ই-সিগারেট এসেছে। এটি ধূমপানের বিকল্প নয়, বরং সমানভাবে ক্ষতিকর। অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও যেন ই-সিগারেট ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। ধূমপান ছাড়লে ৮ ঘণ্টার মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমতে শুরু করে। এক সপ্তাহেই শ্বাসকষ্ট অনেক কমে যায়। আর পাঁচ বছরের মধ্যে ২৫টি রোগ থেকে মুক্তি মেলে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্টপ টোব্যাকোর নাসিরুদ্দিন শেখ, মানসের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহিদসহ অন্যরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর