শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ, দৃশ্যমান হয়নি কোনো ভবন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মর্তুজা নুর, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নমূলক তিন প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ (৩ জুন)। কিন্তু একটি ভবনও দৃশ্যমান হয়নি। সর্বোচ্চ কাজ শেষ হয়েছে ১৫ ভাগ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার জন্য ড্রয়িং-ডিজাইন পেতে দেরি হওয়া, করোনার প্রভাব এবং শ্রমিক স্বল্পতার কারণের কথা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহৎ তিন প্রকল্পের মধ্যে ১০ তলা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা হল, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল এবং ২০ তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবনের কাজ চলছে। কামারুজ্জামান হল ও শেখ হাসিনা হলের ভিত্তির কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে বিজ্ঞান ভবনে ভিত্তির কাজ অনেকটা বাকি আছে। কিন্তু প্রকল্পের সাড়ে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে কোনো ভবনে কলাম ওঠেনি। এসব প্রকল্পের মেয়াদ ৩ জুন শেষ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৩৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এর আওতায় ওই তিন ভবন ছাড়াও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা আছে। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং আনুষঙ্গিক খরচের দিক বিবেচনায় প্রকল্পের সংশোধিত বাজেট পাস হয়। নতুন বাজেটে প্রকল্প ব্যয় হয় ৫১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এতে খরচ বাড়ে ১৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করতে পারা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার শাহরিয়ার রহমান বলেন, মূলত প্রকল্পটি ২০১৪ সালের রেট শিডিউলে ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের ডিজাইন ও ড্রয়িং হাতে পাই। ততদিনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রকল্পের বাজেট ২০১৮ সালের রেট শিডিউলে করার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রকল্পে নতুন রেট শিডিউল অনুসারে মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট পাস করতে প্রায় ২০২০ সাল শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে নতুন রেট শিডিউলে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল।

পরিচালক বলেন, ২০২১ সালের মাঝ থেকে কাজ শুরু করতে গিয়ে প্রক্রিয়াগত কিছু কারণে কাজ ধীরগতি হয়। কেননা মন্ত্রণালয়ে ৩০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেয় না। কিন্তু ২০ তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন প্রকল্প ১০০ কোটি টাকা। সেটা জাতীয় ক্রয় কমিটি থেকে অনুমোদন পেতে প্রায় ২০২১ সাল শেষ হয়ে গেছে। মূলত ৭-৮ মাস একটানা কাজ চলছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, মূলত বাজেট পাস হতে সময় লাগায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। তবুও দ্রুত কাজ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জানানো হচ্ছে। তা ছাড়া কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য কাজের অগ্রগতি কমে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর