রাজধানীর ধানমন্ডিতে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ এবং দুই শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন অপর শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্লাসসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন তারা এসব কথা জানান। আইডিয়াল কলেজের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এর আয়োজন করেন। এ সময় অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ এবং ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন ও প্রতিষ্ঠানটিতে নানা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন আয়োজক শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অধ্যক্ষসহ শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলী অনলাইনে বা কোনো জালিয়াতির মাধ্যমে মালিবাগ মোড়ে ‘লিংকনস্ হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় পিএইচডি ডিগ্রির সনদ ক্রয় করে তা কলেজে জমা দিয়ে উচ্চপদে পদোন্নতি ও বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোবাশ্বের হোসেন।
তিনি বলেন, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা শুরু হয়। অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলীসহ কতিপয় শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালনা করছেন। তারা বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের নানাভাবে ভয়ভীতি, অবজ্ঞা, কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া, চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার হুমকি দেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান দাবি করেন সরকারের কাছে।