বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় তন্বী আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালান মা। তদন্তে গিয়ে আসল রহস্য উদ্ঘাটন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযুক্ত মা লিপি বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরকীয়া প্রেমিক কবির খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ জানায়, ২৭ মে দুপুরে লিপি বেগম নিজ ঘরে স্বামী-সন্তানের অনুপস্থিতিতে পরকীয়া প্রেমিক প্রতিবেশী কবির খানের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। হঠাৎ তন্বী ঘরে ফিরে মাকে এ অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি বাবার কাছে বলে দেওয়ার হুমকি দেয় সে। তৎক্ষণাৎ লিপি ও কবির মিলে শ্বাস রোধে তাকে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। কবির কৌশলে কেটে পড়লে লিপি আত্মহত্যা বলে প্রচার চালান। ওই দিনই বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানায় তন্বীর বাবা সোহরাব হাওলাদার অপমৃত্যু মামলা করলেও তিনি পুলিশের কাছে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. জাকির হোসেন মজুমদার জানান, অপমৃত্যু মামলা তদন্তে গিয়ে তন্বী হত্যার আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। ঘাতক মাকে গ্রেফতার করা গেলেও সহযোগী কবির খান পলাতক। তাকেও গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। এ দুজনকে অভিযুক্ত করে তন্বীর বাবা হত্যা মামলা করেছেন। সে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে লিপিকে আদালতে পাঠালে বিচারক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।