বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ছয় দফা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের রিহার্সাল

অনির্ধারিত আলোচনায় প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ানরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছয় দফা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের রিহার্সাল

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ানরা বলেছেন, ছয় দফা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগান্তকারী পরিবর্তন এবং স্বাধীনতার রিহার্সাল। বঙ্গবন্ধু ছয় দফার সিঁড়ি বেয়েই ধাপে ধাপে সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে বলেছিলেন, যুদ্ধের পর এমন কর্মসূচি দেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ দেশবাসী তোদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেবে। আর সেটা ছিল এ ছয় দফা। স্পিকার ড, শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ অভিমত ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা। আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ পর্লামেন্টারিয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ। আলোচনার সূত্রপাত করেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ।

পর্যটন করপোরেশন বিল পাস : বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করে ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২’ সংসদে পাস হয়েছে। বিলে পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫ লাখ  থেকে বাড়িয়ে ৪০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

এদিকে অবসর গ্রহণকারী বিচারকদের জন্য উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রদানের বিধান রেখে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২২’ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে বিচারকদের পূর্ণ বছরের জন্য অতিরিক্তি পেনশন হিসেবে মাসিক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান এবং প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর সুবিধাদি গত বছরের মে মাস থেকে কার্যকর গণ্য করার বিধান রাখা হয়েছে। এ

ছাড়া বিলে অবসরের পর বিচারকরা যে পরিমাণ গ্রস-পেনশন প্রাপ্য হবেন, তার অর্ধেক বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পণের বিধান রাখা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ রহিত করে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটি পুনঃপ্রণয়ন করা হয়েছে। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে মাসিক বেতনের সমহারে এবং অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে থাকাকালে মাসিক বেতনের অর্ধেক হারে ছুটিকালীন বেতন পাবেন। পূর্ণ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটি, অর্ধ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটির দ্বিগুণ হিসেবে গণনা করা হবে। তবে অর্ধ গড় বেতনে প্রাপ্য ছুটির হিসাব সংরক্ষিত থাকতে হবে। কোনো বিচারক তার মোট কর্মকালীন ছুটির শর্তানুযায়ী অর্ধ গড় বেতনে ৩৬ মাস ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া পূর্ণ গড় বেতনের ছুটি এককালীন পাঁচ মাস এবং অন্য কোনো ছুটি ১৬ মাসের অধিক হবে না। কোনো বিচারক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণ করলে কোনো ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। কোনো বিচারক অনভিপ্রেত কোনো আঘাতের দ্বারা আহত হয়ে কর্মে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া কোনো বিচারক অনুমোদিত ছুটি বা অবকাশের অতিরিক্ত অনুপস্থিতিকালের জন্য কোনো বেতন প্রাপ্য হবেন না।

ছুটি মঞ্জুরের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংরক্ষিত।

বিলে পেনশনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, কমপক্ষে পাঁচ বছর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর বা অবসর গ্রহণের বয়সসীমা পৌঁছার আগে অসুস্থতাজনিত কারণে অবসরে গেলে বা অপসারিত হলে বা ১০ বছর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর বা অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছার আগে পদত্যাগ করলে বিচারকরা পেনশন সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত বিচারকদের জন্য নিজস্ব সার্ভিসের অনুমোদিত হিসেবে পেনশন প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় স্থায়ী নিয়োগ পেলে অস্থায়ী কর্মকাল স্থায়ীকাল হিসেবে গণ্য হবে। মাসিক পেনশন সাকুল্যে সর্বশেষ উত্তোলিত বেতনের বেশি হতে পারবে না। বিলে বিচারকদের আঘাত জনিত আনুতোষিক এবং পেনশন সুবিধা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর