শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

উৎসাহিত হবে বিনিয়োগ বাস্তবায়ন সম্ভব দৃঢ় নেতৃত্বে

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের বাজেট প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাজেটে করপোরেট করহার হ্রাস করায় বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ সম্প্রসারিত হবে। তবে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমাও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের প্রেক্ষিতে চিটাগাং চেম্বারের পরিচালকমন্ডলীর পক্ষ থেকে সভাপতি মাহবুবুল আলম তাৎক্ষণিক এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে, পৃথক এক প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কারণ তিনি কভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য ‘কভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগানে সুচিন্তিত, জনকল্যাণমুখী ও সাহসী বাজেট উপস্থাপন করেছেন।  চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাজেটে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার ২২.৫% থেকে কমিয়ে ২০%, পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এমন কোম্পানির কর ৩০% থেকে কমিয়ে ২৭.৫% এবং এক ব্যক্তি কোম্পানির ক্ষেত্রে ২৫% থেকে কমিয়ে ২২.৫% করা হয়েছে যা বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। ট্রেডিং পণ্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর ৭% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে যা ইতিবাচক। ম্যানুফ্যাকচারারদের কাছে কাঁচামাল সরবরাহে উৎসে কর ৭% থেকে কমিয়ে ৪% করা হয়েছে যা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। পারকুইজিট খাতে অনুমোদনযোগ্য ব্যয়সীমা ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। মোট কর্মচারীর ১০% বা ২৫ জনের অধিক প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হলে প্রদেয় করের ৫% রেয়াত দেওয়া হবে যা প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক।  চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের জন্য ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তা কঠিন হলেও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭/২৪ কর্মঘণ্টার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে এ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হতে পারে। তা ছাড়া নিয়মিত করদাতা বা প্রতিষ্ঠানের ওপর করের বোঝা আর না বাড়িয়ে নতুন করদাতা সৃষ্টি করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর