শিরোনাম
শনিবার, ১১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

কোরবানির চাহিদার চেয়ে বেশি পশু রাজশাহীতে

ভারত থেকে গরু এলে দাম পান না খামারিরা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

কোরবানির চাহিদার চেয়ে বেশি পশু রাজশাহীতে

কোরবানি ঈদের জন্য রাজশাহীতে এবার পর্যাপ্ত পশু লালন-পালন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের হিসাবে, চাহিদার চেয়ে ১০ হাজার পশু বেশি আছে এ জেলায়। জুনের শেষভাগে এসেই রাজশাহীর পশুহাটগুলো বেচাকেনায় জমে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার করোনা না থাকার কারণে হাট জমবে। ভালো দামও পাবেন খামারিরা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ এমনই আশা করছে। তবে সাধারণ খামারিরা পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, চড়া দামে খাবার কিনে পশুকে খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের হাতে এখন টাকা নেই। তাই ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তাদের।

রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্যমতে, দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছাগল আছে রাজশাহীতে। এই বিভাগে ২৮ লাখ ২২ হাজার ৬৩৯টি কোরবানিযোগ্য ছাগল আছে। ছাগলের সঙ্গে ভেড়ার সংখ্যাও বেশি রাজশাহী বিভাগে। বিভাগের আট জেলায় আছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭টি ভেড়া। এ ছাড়া ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৯টি গরু ও ২১ হাজার ৫২১টি মহিষ আছে রাজশাহীতে। রাজশাহী বিভাগের ১ লাখ ৩০ হাজার ২৬৫ জন খামারি এসব পশু লালন-পালন করেছেন। এসব পশু দিয়েই রাজশাহী বিভাগের চাহিদা মেটানো সম্ভব। অন্যদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্যমতে, ১৬ হাজার ৭৯ জন খামারির কাছে আছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭২টি গরু, ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫টি ছাগল, ৩৮ হাজার ২৪৫টি ভেড়া ও ৩ হাজার ২১১টি মহিষ আছে। মোট কোরবানির জন্য পশু আছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৫২টি। জেলায় এবার সম্ভাব্য চাহিদা ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি। চাহিদার চেয়ে প্রায় ১০ হাজার পশু বেশি আছে রাজশাহী জেলায়। রাজশাহীর খামারি সওদাগর এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল বলেন, আগে ৩ হাজার টাকা খরচ করলেই একটা গরু পোষা যেত। এখন গো-খাদ্যের এত দাম যে মাসে খরচ ৭ হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাই কোরবানির বাজারে খামারিরা বেশি দাম চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের হাতেও টাকা কম। তাই পশুর দাম কেমন উঠবে তা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। গোদাগাড়ীর মাটিকাটা এলাকার খামারি সেতাবুর রহমান বলেন, খামারে গরু থাকলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কারণ ভারত থেকে গরু এলে খামারিরা দাম পান না। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার আখতার হোসেন বলেন, এবার করোনা নেই। আবার গবাদি পশু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে। তাই হাটে দাম বেশি থাকবে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে কত গবাদিপশু আছে তার একটা প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, জেলায় পশুর কোনো সংকট নেই। রাজশাহীর পশু দিয়ে এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও পাঠানো যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর