শনিবার, ১১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ভোগান্তি দূর করতে আমি নিজে আদালতে যাব : মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়ার মাত্র ৮০ মিটার ড্রেনের কাজ সম্পন্ন না করতে পারায় এ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা বেড়ে গেছে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে এ এলাকার জনগণের দুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে। জনগণের ভোগান্তি দূর করতে প্রয়োজনে আমি নিজে আদালতে যাব। জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করে এর দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেব’

গতকাল সকালে ‘কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া এলাকায় ওয়াসা থেকে পাওয়া ড্রেনের অংশ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার স্থান’ সরেজমিনে পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়ার এ ড্রেনের অংশ ওয়াসা ডিএনসিসির কাছে হস্তান্তর করে এবং সেই সময় ওয়াসা কাজ শেষ না করেই বন্ধ করে দেয়। পরে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ড্রেনের কাজ শুরু হয়। ডিএনসিসি কাজ শুরু করলে আগে ওয়াসা থেকে পাওয়া কাজটির ঠিকাদার মামলা দায়ের করলে আদালত সেখানে স্থগিতাদেশ দেন। এর ফলে ওই অংশে ডিএনসিসির ড্রেনের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

পরিদর্শন শেষে মেয়র উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ এখানে এসে দেখলাম আগে যারা কাজ করে গেছেন তারা ড্রেনের ভিতরে তাদের ব্যবহৃত পাইপ, সেন্টারিংয়ের জিনিসপত্র, বালির বস্তা, কাঠসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে রেখে  গেছেন। এগুলোও তারা পরিষ্কার করেননি। এর ফলে ড্রেনগুলোতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করে এ ড্রেনগুলো পরিষ্কার করছে। তিনি বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগ দূর করতে আমি এখানে চারবার এসেছি। আমি এর আগেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এবং ওয়াসার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়ার এ অংশের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বসহকারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ এলাকাসহ ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছি। যে কোনো স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে কুইক রেসপন্স টিম তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে দ্রুত পানি অপসারণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করবে। ১৬১০৬ এ হটলাইন নম্বরে যে কোনো অপারেটর (গ্রামীণফোন ছাড়া) থেকে ফোন করে জলাবদ্ধতার বিষয়ে তথ্য জানানো যাবে।’ মতবিনিময় শেষে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মিরপুরের ৬০ ফুট রোডে বারেক মোল্লার মোড় নামক স্থানে একটি সরু রাস্তা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সরু রাস্তাটি প্রশস্তকরণের উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশের জমির মালিকের সঙ্গে তার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। এসময় তিনি জমির মালিককে অনুরোধ করেন নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা প্রশস্তকরণে প্রয়োজনীয় জমি যেন ছেড়ে দেন এবং জমির মালিককে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর