বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকার টিকে থাকতে মরণ কামড় দিচ্ছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার টিকে থাকতে মরণ কামড় দিচ্ছে : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে মরণ কামড় দিতে শুরু করেছে। তবে এভাবে সর্বনাশা হিংসার আশ্রয় নিয়ে সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জনগণ এখন সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের নামে মূলত বিএনপিকে ধ্বংস করার কাজই নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ভারতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সস্ত্রীক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনার নিন্দা জানান। অবিলম্বে আলালকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা অমানবিক, ন্যক্কারজনক ও জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজ।

এ ছাড়া বিবৃতিতে বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরসহ ১২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : গতকাল বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরে দলীয় কার্যালয়ে মহিলা দলের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, কুমিল্লার সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। একজন সংসদ সদস্যকে কুমিল্লা থেকে বের করতে না পেরে নিজেদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচন কী হবে? প্রথমেই নির্বাচন কমিশন দেখাল তার ক্ষমতা নেই, সেই নির্বাচন কমিশন কীভাবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবে? নিরপেক্ষ সরকার না হলে যে নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা থাকবে না, তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল।

বিএনপি মহাসচিব পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের সমালোচনা করে  বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এত ব্যয়বহুল সেতু নেই। ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায় খরচ হলো জনগণ জানতে চায়।  তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর প্রথম ফিজিবিলিটি রিপোর্ট করে বিএনপি ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে। সেই সময় ফিজিবিলিটি রিপোর্ট অনুসারে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। আর এখন সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার হিসাব চাই আমরা, এটাই হচ্ছে এখন ইস্যু।

এ সময় দলের জেলা সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিসসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর