বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাছরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার চেকের তিনটি মামলায় লক্ষ্মীপুরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আরেফিন এ আদেশ দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন ইভ্যালির ম্যানেজার ফাইন্যান্স জায়েদ হাসান, সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল। আদালত সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকার মাহমুদুল হক সুজন এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য ইভ্যালিতে অগ্রিম ১৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পণ্যগুলো দিতে ইভ্যালি ব্যর্থ হয়।

ইভ্যালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আবদুল্লাহ আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংকের হিসাবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সুজনের কাছে পাঠানো হয়।  চেকগুলো নগদায়নের জন্য ১৩ জানুয়ারি নিজের ওয়ান ব্যাংক হিসাবে জমা দেন সুজন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার পৃথক চেক ছিল। ওয়ান ব্যাংক থেকে চেকগুলো নগদায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংকে পাঠালে জানা যায়, ইভ্যালির হিসাব বন্ধ রয়েছে।

 এতে ডিজঅনারপূর্বক চেকগুলো ফেরত আসে। ১০ ফেব্রুয়ারি সুজন আইনজীবীর মাধ্যমে পাওনা টাকার জন্য অভিযুক্তদের লিগ্যাল নোটিস পাঠান। কিন্তু তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি। এতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা ও হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেক প্রদান করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলতি বছর ২৭ ও ২৮ মার্চ ১৮৮১ সালের এনআই অ্যাক্টের ১৩৮/১৪০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলো আমলে নিয়ে বিচারক সমন জারি করেন। গতকাল আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু আসামিরা আদালতে উপস্থিত হননি। এতে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জারির আদেশ দেন।

মামলার বাদী সুজন ও তার আইনজীবী নিক্সন পিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর